নারীঃ এ যুগেও অনেক শিক্ষিত নারী বিবাহিত জীবনে স্বামীকে তার নিজস্ব সম্পত্তি
ভাবে, অথচ স্বামীর প্রতি আস্থা রাখতে পারে না!! তাদের মনে সব সময় এক ধরনের
‘হারাই হারাই’ ভাব কাজ করে। স্বামী বাইরে ঘরে কাজ করবে, কিনতু কোন মেয়ের
সাথে মিশতে পারবেনা! শুরু হয়ে যায় পারস্পরিক বিশ্বাস-অবিশ্বাস,
ঝগড়া-ঝাঁটি, এক পর্যায়ে নারী তার স্বামীকে নিজস্ব সম্পত্তি ভেবেই নিজ
আঁচলে বেঁধে রাখতে চায়! এরই ধারাবাহিকতায় স্বামীকে দিয়ে পবিত্র
ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করায়, নতুবা সন্তানের মঙ্গল-অমঙ্গলের চিন্তা
না করেই সন্তানের মাথার দিব্যি দেয় যেনো স্বামী নিজের স্ত্রী ছাড়া আর কোন
নারীর (হোক সে নিখাদ বন্ধুত্ব) কাছাকাছি না যায়। কোন কোন নারী আবার আরেক
ধাপ এগিয়ে গিয়ে, আদরের সন্তানটিকে দিয়ে বাবার পেছনে স্পাইং পর্যন্ত করায়।
মোবাইল ফোনের 'কল লিস্ট চেক করা, এসএমএস চেক করার' মত অতিশয় হীন কাজ করতেও
গ্লানি বোধ করে না। শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের দখলে রাখার
শিশুসুলভ কাজটুকু করতে গিয়ে কোমলমতি সন্তানদের এঁচোড়ে পাকার ব্যবস্থা করে
ফেলে। সংখ্যায় অল্প হলেও কিছু নির্দোষ স্বামী বেচারা মনে অনেক যাতনা পুষে
ঘুরে বেড়ায়, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়, জোরে জোরে হেসে উঠে, মনে দহন হয়,
ঘরে-বাইরে ভালোবাসা-বিশ্বাসের বদলে সমঝোতা করে চলাকেই স্বস্তিদায়ক মনে
করে। বাইরে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবীদের বলতেও পারেনা, কী যন্ত্রনার মধ্যে তার
দিন কাটে, ধীরে ধীরে শরীরে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধে। বোকা নারী স্বামীকে কি
শেষ পর্যন্ত আঁচলে বেঁধে রাখতে পারে, যখন আজরাইল বা যমরাজ এসে সামনে
দাঁড়ায়!! এ যুগেও নারী কেনো এমন বোকা হয়! কেনো কিছু কিছু ব্যাপারে ছাড়
দেয়ার কথা মনে আসে না! কেনো পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরী হয় না, সুখী
দাম্পত্যে পারস্পরিক বিশ্বাস অর্জনই তো বড় কথা! এক জীবনে কী আর সব পাওয়া
যায়!
পুরুষঃ বর্তমান আধুনিক সমাজে অনেক উচ্চশিক্ষিত পুরুষ নিজের স্ত্রীটিকে ‘আলাদা’ একজন মানুষ না ভেবে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে চার দেয়ালের সিন্দুকে ভরে রাখে। স্ত্রীকে সিন্দুকে রেখে নিজে নানা সভা সেমিনারে যায়, ‘নারী স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা’ সম্পর্কে অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়, সেমিনার শেষে কিছু আলোকিত, মুক্তমনা নারীদের সাথে এক টেবিলে বসে চা পান করে, আর মনে মনে নিজের ‘ঘরকুনো স্ত্রী’র সাথে আলোকিতা নারীর তুলনা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বোকা স্বামী বাইরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘরে ঢুকেই সিন্দুকের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মেজাজ খারাপ করে, ‘মূর্খ-বোকা’ বলে গালাগাল করে, কদাচিৎ খাবার টেবিলে বসে রান্না ভাল হয় নি বলে খাবারের থালা ঠেলে উঠে যায়, বেশীর ভাগ সময় ‘বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি’ বলে তেতো মুখে ঘুমাতে যায়। শুয়ে শুয়ে আলোকিত নারীর মুখ মনে পড়ে, ঘুম আসেনা, অম্বল হয়, বদহজম হয়, তবুও বোকা স্বামীর একবারও সিন্দুকের ডালা খুলে স্ত্রীটিকে বাইরে বের করার কথা মনে পড়ে না!
পুরুষঃ বর্তমান আধুনিক সমাজে অনেক উচ্চশিক্ষিত পুরুষ নিজের স্ত্রীটিকে ‘আলাদা’ একজন মানুষ না ভেবে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে চার দেয়ালের সিন্দুকে ভরে রাখে। স্ত্রীকে সিন্দুকে রেখে নিজে নানা সভা সেমিনারে যায়, ‘নারী স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা’ সম্পর্কে অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়, সেমিনার শেষে কিছু আলোকিত, মুক্তমনা নারীদের সাথে এক টেবিলে বসে চা পান করে, আর মনে মনে নিজের ‘ঘরকুনো স্ত্রী’র সাথে আলোকিতা নারীর তুলনা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বোকা স্বামী বাইরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘরে ঢুকেই সিন্দুকের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মেজাজ খারাপ করে, ‘মূর্খ-বোকা’ বলে গালাগাল করে, কদাচিৎ খাবার টেবিলে বসে রান্না ভাল হয় নি বলে খাবারের থালা ঠেলে উঠে যায়, বেশীর ভাগ সময় ‘বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি’ বলে তেতো মুখে ঘুমাতে যায়। শুয়ে শুয়ে আলোকিত নারীর মুখ মনে পড়ে, ঘুম আসেনা, অম্বল হয়, বদহজম হয়, তবুও বোকা স্বামীর একবারও সিন্দুকের ডালা খুলে স্ত্রীটিকে বাইরে বের করার কথা মনে পড়ে না!
No comments:
Post a Comment