Thursday, May 10, 2012

‘মাদার’স ডে শুধুই মায়েদের জন্য, কিনতু ওরা মা নয়!!



আগে প্রচলন ছিলনা, কিনতু বেশ কিছু বছর ধরেই বাংলাদেশে ‘মাদার’স ডে মহা ধুমধামের সাথে পালিত হয়ে থাকে। কোন একটি কোম্পাণী থেকে ‘রত্নগর্ভা’ পদক প্রদান করা হয়ে থাকে দেশে প্রতিষ্ঠিত বা পরিচিত ব্যক্তিদের মায়েদেরকে। ভালো খুবই ভালো, এমন উদ্যোগকে নিজে একজন মা হিসেবে একটা সালাম দিতেই হয়। তবে রত্নগর্ভা শব্দটি নিয়ে মনে একটু খটকা থেকেই যায়। ‘গর্ভে’ থাকতে সব শিশুই একই রকমভাবেই বাড়ে। সব মেয়ের গর্ভের অভ্যন্তর একই কাঠামোতে সাজানো। সেখানে কারোর গর্ভেই আলাদা করে রত্ন তৈরীর মেশিন থাকেনা। বাচ্চা ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে শুরু হতে পারে রত্ন বানানোর প্রক্রিয়া, তার আগেতো নয়। তবে হ্যাঁ, যে মা যত বেশী সচেতন, যে মা যত বেশী বুদ্ধিমতী, জ্ঞাণী, সেই মায়ের সন্তান পরিনত বয়সে রত্নই হয় বটে। কাজেই মা’কে যদি পুরস্কৃত করতেই হয়, তাহলে ‘রত্নগর্ভা’ উপাধীর বদলে ‘মা রত্ন’ অথবা ‘রত্ন মা’ উপাধী দিলেই বেশী যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

আমার তিনটি মেয়ে। মেয়ে তিনটি ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্মী টাইপ ছিল। এইজন্য আমার পরিচিত সকলেই আমাকে ‘রত্নগর্ভা’ বলে মজা করতো অথবা আদর করেই হয়তো সম্বোধনটি করতো। আমিও শ্বাশ্বত বাঙ্গালী মায়েদের মত একটু তৃপ্তির হাসি হাসতাম। মনে মনে একটু গর্বও বোধ করতাম হয়তো। এর বেশী কিছু ভাববার অবকাশ ছিলনা এবং ভাবতামও না। পরবর্তীতে আমেরিকাতে চলে এসেছি। এরপর আমাকে নিয়ে আর কেউ মজা করার সুযোগ পায়নি। আমেরিকাতে এসে মেয়েগুলো আর দশজন এশিয়ান ছেলেমেয়েদের মত করেই ভালো ফলাফল করতে শুরু করলো স্কুল-কলেজে। আমি আবারও বেশ খুশীমনে দেশে ফোন করে খুব গর্বের সাথে মেয়েদের সাফল্যের কথা বলতে লাগলাম।


আমি জীবনের একটা সময় অস্ট্রেলিয়াতেও ছিলাম তিন বছর। ঐ সময়ে আমার দুই মেয়ে খুব ছোট ছিল, তারা স্কুলে চলে যেতেই আমি একা হয়ে পড়তাম। তাই আমি অড জব করতে শুরু করি। অড জব করার এক পর্যায়ে আমি বিখ্যাত প্রসাধন সামগ্রী ‘ল’রিয়েল’ কোম্পানীর প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছি কিছুদিন।  অস্ট্রেলিয়াতে থাকার সময় আমি ছিলাম নিরেট বাঙ্গালী। বিদেশী হালচাল তখনও রপ্ত হয়নি, অথবা ইচ্ছে করেই বিদেশী কালচার শিখতে চাইনি। তাই মাদার’স ডে বা ফাদার’স ডে সম্পর্কেও আমার কোন ধারনা ছিলনা। ল’রিয়েল কোম্পাণীতে কাজ করার সময় মাদার’স ডে উপলক্ষে মায়ের জন্য নানা ধরনের প্রসাধন সামগ্রী দিয়ে ‘গিফট বক্স’ তৈরী করা হচ্ছিল। আমিও সেই প্যাকেজিং টীম এ কাজ করছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম নিজের মায়ের কথা। এক মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, মাদার’স ডে তে আমি কি করবো! আমি প্রশ্নটা শুনে একটু থতমত খেয়ে গিয়ে বলে ফেলেছিলাম, আমদেরতো মাদার’স ডে নেই। যারাই আমার উত্তরটা শুনেছে তাদের প্রত্যেকের মুখে প্রথমে বিস্ময়, পরে কৌতুকের হাসি ছড়িয়ে পড়তেই আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। বুঝেছি উত্তরটা বোকার মত হয়ে গেছে। আমি সাথে সাথে বললাম, “আমাদের দেশে বছরের প্রতিটি দিনই মায়ের জন্য তোলা থাকে। তাই আলাদা করে ‘মাদার’স ডে পালন করা হয়না। ওরা কি বুঝেছিল, কতটুকু বিশ্বাসইবা করেছিল কে জানে। কিনতু সমস্ত বিদেশীদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে অমন একটি পরিস্থিতিতে পড়ে আমি এমন উত্তর দিতে পেরে মনে মনে অনেক খুশী হয়েছিলাম।

এরপরে যখন আমেরিকাতে চলে আসি ততদিনে পাশ্চাত্যের অনেক কৃষ্টির সাথে কিছুটা হলেও পরিচিতি হয়েছে। আমেরিকাতে মাদার’স ডে বা ফাদার’স ডে অনেক ঘটা করে পালিত হয়। পরিনত বয়সে এসেই বুঝতে পারলাম পাশ্চাত্যে ‘মা’ কে মায়ের সম্মান দেয়া হয়। মা’টি কুমারী মা নাকি বিবাহিতা মা তা বিচার করা হয়না। দেশে থাকতে আমরা হরহামেশা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনেক কিছু নিয়েই সমালোচনা করতাম। বিশেষ করে মা বাবা বৃদ্ধ হলে ‘ওল্ড হোমে’ পাঠিয়ে দেয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে এক ধরনের নিষ্ফল আনন্দ পেতাম। কিনতু এখানে থেকে দেখেছি, বৃদ্ধ বাবা মায়েদের সাথে কথা বলে জেনেছি, আমরা অযথাই ‘ওল্ড হোম’ নিয়ে নিজেদের মনগড়া কথা বলি। আসলে ওল্ড হোমে থাকাটা অনেকেই জীবনের একটি অংশ মনে করে। ওলড হোমে থেকেও মায়েদের সাথে তার সন্তানের এতটুকুও দুরত্ব তৈরী হয়না। আমাকে যেটা সবচেয়ে অবাক করেছে, সেটা হচ্ছে এখানে মায়ের কোন জাত নেই।

এখানে এসেই টের পেলাম, দেশে মাতৃত্ব সামাজিকভাবে স্বীকৃতি না পেলে মা হওয়ার সমস্ত গৌরব ধূলায় লুটিয়ে যায়। এখানে মা হওয়ার সাথে বিয়ের কোন সম্পর্ক নেই। ফলে বিবাহিতা অথবা কুমারী মেয়েরা হরহামেশাই মা হচ্ছে। এখানে ‘অবৈধ সন্তান’ বলে কিছু নেই, অবৈধ মা বলেও কিছু নেই। একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, কিনতু সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্কে কোন ফাটল ধরেনা। এখানেই ‘মা’ হওয়ার সার্থকতা। আমার সহকর্মী চ্যাসিটি মা হতে গিয়ে যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গিয়েছে, হিলারী ক্লিন্টন বা মিশেল ওবামাকেও একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই মা হতে হয়েছে। নয়মাস শিশু গর্ভে ধারনকালীন সময়ে চ্যাসিটিকে যে সকল শারীরিক কষ্ট, মা হতে যাওয়ার আনন্দ বা মৃত্যুভয়ের শঙ্কামিশ্রিত এক অনুভূতি ঢেকে রাখতো, হিলারী বা মিশেল এমনকি হলিউড কাঁপানো এঞ্জেলিনা জোলীকেও একই অনুভূতি আচ্ছন্ন করে রাখতো নিশ্চয়ই। আর একমাত্র এখানেই দেখলাম ‘মা’ হচ্ছে মা। সিঙ্গেল মাম এর সাথে তার সন্তানের যে সম্পর্ক, বিবাহিত মায়ের সাথেও সন্তানের একই সম্পর্ক।

মাদার’স ডে নিয়ে আগে আমার কোনই আদিখ্যেতা ছিলনা। আর দশজন বাঙ্গালীর মত করে আমিও বিশ্বাস করতাম, বছরের প্রতিটি দিনই মাদার’স ডে। কিনতু আমরা কি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করি যে প্রতিটি দিনই মাদার’স ডে! না, এটা কথার কথা। আমরা মাতৃত্বের গুরুত্বই বা বুঝি কতটুকু। মা হতে গেলে একটি মেয়েকে রীতিমত মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হয়, মা হতে গেলে একটি মেয়েকে সমাজের কাছে বৈধতা অবৈধতার পরীক্ষা দিতে হয়। উন্নত বিশ্বে যেখানে ‘মা’ হতে পারাটাকেই গৌরবের মনে করা হয়, বৈধ অবৈধ মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়না সেখানে আমাদের দেশে বৈধ সন্তানের মা হতে গিয়েও কতরকম সামাজিক কৌতুহলের সম্মুখীন হতে হয়। সন্তান ছেলে না মেয়ে, এটাতো একটা লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। পুত্র সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়ে কত মেয়েকে সতীনের ঘর করতে হয়, কত মেয়ের তালাক হয়ে যায়। এখনও অনেকের মাথাতেই আসেনা যে একটি মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তান দেহে ধারন করে ঠিকই, কিনতু সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে হবে, তা নির্ধারণ করে প্রকৃতি এবং সেটা পুরুষের মাধ্যমে।    

বৈধ সন্তান জন্ম দিতেই মেয়েদের যখন এই অবস্থা, তার আবার অবৈধ? নবৈচ নবৈচ! মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ বলে গলা ফাটাই, মুক্তিযুদ্ধ শব্দটি উচ্চারণ করার আগে ‘মহান’ শব্দটি যোগ করে বলি ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ’ অথচ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পরে আমরা শুধু  মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েই কথা বলি। মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকেই বলি যারা সমরে অংশ নিয়েছে। কিনতু যারা অস্ত্র হাতে তুলতে পারেনি, কিন্তু যুদ্ধের নয়টিমাস হায়েনাদের ধারালো দাঁত ও নখের আঁচরে জর্জড়িত হয়েছে, তাদেরকে কোন সম্মান দিতে পারিনি। লোকদেখানো আদর করে তাদেরকে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধী দিয়েছি। কিনতু বীরাঙ্গনা কেন, তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবেনা কেন? কত যন্ত্রনা, কত লাঞ্ছনা তাদের দেহকে নীল করেছে, কত চোখের জলে তাদের দিবানিশি ভেসেছে, তার মূল্য কি শুধু এই ছোট্ট একটি ‘বীরাঙ্গনা’ শব্দেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে!

এই যে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই লাখ নারীকে পাকিস্তানী বাহিনীর সৈন্যেরা জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল, সেই পাশবিকতার ফলে কত মেয়েই হয়ত সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধের ডামাডোলে অথবা ক্যাম্পে থাকার কারনে ঐ সমস্ত অবাঞ্ছিত ভ্রূনগুলোকে হত্যা করা যায়নি( আমি দুঃখিত মা হয়ে এমন কথা বলতে হচ্ছে বলে), তাদের সকলেরই নিশ্চয়ই গর্ভধারণের নয়মাস পরেই সন্তান ভুমিষ্ঠ হয়েছে। সেই বাচ্চাগুলোর কি গতি হয়েছিল? ওদের অনেককেই ‘এতিমখানায়’ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ‘যুদ্ধশিশু’ নামে অভিহিত করা হয়। আর সেই সকল অসহায় নারীদের ভাগ্যে জুটেছে’ বীরাঙ্গনা’ খেতাব। আমার ভাবতেই কান্না পায়, একজন মেয়ে (‘বীরাঙ্গনা’) অন্যের পাশবিক অত্যাচারের যে স্বীকৃতি গর্ভে ধারন করেছিল, নয়মাস তার শারীরিক অনুভূতি বা কষ্টগুলি কি কম ছিলো? শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি ছিল সামাজিক নিন্দার ভয়! কি মানসিক কষ্ট! যেভাবেই মেয়েগুলো গর্ভবতী হয়ে থাকুকনা কেন, তারাতো ঐ বাচ্চাগুলোর ‘মা’ ছিল। তারা কি পেয়েছে সেই মায়ের স্বীকৃতি? সমাজের ভয়ে অনেক বেদনা সয়েও পৃথিবীর বাইরে নিয়ে আসা তুলতুলে নিষ্পাপ শিশুটির দিকে কখনও কি মায়ের দৃষ্টি নিয়ে তাকাতে পেরেছে? বাচ্চাটির মুখ থেকে নিজেও মা’ ডাক শুনতে পেলোনা, বাচ্চাটিও জানতেই পারলোনা কোন অপরাধে সে মায়ের বুকের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হলো।

একই ব্যাপার ঘটে কুমারী মায়েদের বেলা্য অথবা একজন পতিতার বেলায়।   জীবিকার প্রথা অনুযায়ী  অতিথির মনোরঞ্জন করতে গিয়ে কখনও না কখনও সেই সমাজের 'অচ্ছ্যুত' পতিত মেয়ের গর্ভেও নতুন প্রানের সৃষ্টি হতে পারে এবং তা হয়।  তাদের সন্তানগুলোও সমাজে 'অচ্ছ্যুৎ'ই থেকে যায়।  ওইসব 'অচ্ছ্যুৎ' ছেলেমেয়েরা তাদের জন্মদাত্রীকে প্রাণভরে মা ডাকতে পারে বলে মনে হয়না। জন্মদাত্রীও সন্তান জন্ম দিয়েই  পেটের টানে, বাঁচার টানে তার পেশাতে মনোযোগী হয়ে পড়ে। মা হওয়ার যে কি গৌরব, তা সে জানতেই পারেনা।  মুহূর্তের ভুলে যখন একটি কুমারী মেয়ে গর্ভধারন করে ফেলে, তাকেও সমাজে নিগৃহীত হতে হয়। প্রেমিক পুরুষের প্রতি আবেগ ভালোবাসার বেখেয়ালেও কত মেয়ের জীবনে সর্বনাশ ঘটে যায়। সমাজ তখন একবারের জন্যও ভাবেনা,  একা একটি মেয়েতো আর যাদু দিয়ে মা হতে পারেনা, মা হতে গেলে বা কাউকে মা বানাতে গেলে মায়ের সাথে বাবারও অবশ্য প্রয়োজন হয়।  কিনতু ‘কুমার বাবা’ বলে কোন শব্দ নেই বলেই হয়তো বাবাগুলো অনায়াসে কোনরকম কোন কিছুর দায় না নিয়েই কত মেয়ের সর্বনাশ করে ফেলে। সর্বনাশইতো, কুমারী অবস্থায় ‘মা’ হলে তাকে আমরা মায়ের স্বীকৃতি দেইনা, ফলে মেয়েটিও তার নাড়ী ছেঁড়া ধনটিকে লোকনিন্দার ভয়ে পৃথিবীর আলো দেখানোর সুযোগ পায়না। পরিবর্তে ধাইয়ের কাছে গিয়ে অথবা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে গর্ভের সুরক্ষিত অন্দর থেকে তার বাবুটিকে খুঁচিয়ে বের করে নিয়ে আসে। কোন রকম অসতর্কতার কারনে যদি বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়েই যায়, হয় সেই বাচ্চার গন্তব্য হয় ডাস্টবিন না হয়তো এতিমখানা। নয়মাসের কষ্ট এভাবেই সমাপ্তি পায়। এভাবেই তার মা হওয়ার গৌরব ধূলায় মিশে যায়। মা হওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গিয়েও তারা ‘মা’ হতে পারেনা। ‘মাদার’স ডে তাদের মত ‘অগৌরবের’, ‘হতভাগী’,’লক্ষীছাড়ী’ মায়েদের জন্য নয়। কারন সন্তান জন্ম দিলেও ওরা 'মা' নয়।

2 comments:

  1. --বাংলাদেশেই জন্ম আমার,এ দেশেই এত বড় হয়েছি,যার কারণে মানষিকতা অমনই ছিল। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে, 'মা' এই শব্দটার একটা নতুন মাত্রা পেলো এই অধমের হৃদয়ে। অসঙ্খ্য ধন্যবাদ আপনার এই মমতাময়ী লেখা এবং দেখার অন্তর্দৃষ্টির জন্য।

    ReplyDelete
  2. আমি লেখাটি ভিষন একটা ঝাঁখুনি খেলাম ৷মা আমার মা ৷আমরা মাকে খুব ভালবাসি তাদেরঅবশ্য এ লেখাটি পড়া উচিত ৷মা প্রতি ভালবসা আরো বেড়ে যাবে ৷

    ReplyDelete