Sunday, June 16, 2013

একটি 'বাবাময়' সন্ধ্যা!

আজ সন্ধ্যায় আমাদের নেমন্তন্ন ছিল হক ভাইয়ের বাড়ীতে। হক ভাই  মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে  ফুড সায়েন্স-এর জাঁদরেল প্রফেসার, আন্তর্জাতিকভাবেও উনার খ্যাতি আছে।  উনার  বাড়ী স্টার্কভিল নামক এক শহরে, স্টার্কভিল আমাদের বাড়ী থেকে ২৫ মাইল দূর। গাড়ী করে যেতে ২৫ মিনিটের বেশী লাগেনা। আমরা আজ সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ঐ বাড়ীতেই কাটিয়ে এলাম।

হক ভাইকে আমি উনার অনুরোধে 'দাদা' বলে ডাকি। আমার স্বামী ও ছোট মিথীলা ছাড়া ধারে কাছে আপনজন বলতে কেউ নেই, বাকী দুই মেয়ে থাকে আমার কাছ থেকে অনেক দূরে। হক ভাইয়ের এক মেয়ে থাকে বাবার কাছে, পরিবারের আর বাকীরা সকলেই যার যার কর্মস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। ফলে আমরা  ও আমার দাদা, সুযোগ পেলেই নিজেদের মধ্যে আড্ডা দেই, খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব, গান-বাজনা করে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাই। অবশ্য 'গান-বাজনা' কথাটির মধ্যে একটু অতিরঞ্জন আছে, দাদা বা আমার উত্তম কুমার, কারো গলা দিয়েই 'সা' অথবা 'পা' বের হয়না, বাজনা বাজাবে কী! বাকী থাকি আমি, আমি 'সা'-পা-সা ভালই বুঝি কিন্তু ভাল করে  গাইতে পারিনা, গলা উঁচুতে উঠাতে গেলেই ধরা পড়ে যাই। তারপরেও আমার দাদা আমাকে খুব করে বলেন, 'মিঠু, গাও, ঐ গানটা গাও"! আফসোস হয়, কী সোনালী দিন ছিল যখন অনায়াসে কত সাবলীলভাবে গান করতাম, সময় কাউকে ছাড়েনা, ক্ষয় করে দেয়।

সোমা এবং দীপালোক মিসিসিপি স্টেট এর ছাত্র, ওরা স্বামী-স্ত্রী  দুজনেই হক দাদার অধীনে গবেষনা করে। সোমার ও দীপালোকের ছয় বছর বয়সী মেয়েটির নাম সাঁঝবাতি। গত পরশুদিন দেশ থেকে সাঁঝবাতির দাদুরা এসেছেন, একজন দীপের বাবা, আরেকজন সোমার বাবা। দুই বেয়াই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলে এসেছেন। দীপালোকের বাবা এর আগেও দু'বার এসেছেন, পেশায় ভদ্রলোক একজন শিশু চিকিৎসক, আর সোমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। উনারা দুজন এসেছেন, এই উপলক্ষ্যে হক দাদা আজ সন্ধ্যাতে উনাদেরকে ডিনারে নিমন্ত্রণ করেছেন। দাদার সাথে উত্তমের খুবই ভাল সম্পর্ক। দু'জনে একসাথে কোথাও বসলে গল্প আর শেষ হয়না। দাদা দুই দিন আগেই উত্তমকে ফোনে নেমন্তন্ন করেছেন। উত্তম বলেছে, " হক ভাই, মিঠুকে জিজ্ঞেস করে নেই"!
আমাকে জিজ্ঞেস করতেই বললাম, " হবেনা, আমাকে ফাদার'স ডে নিয়ে লেখা তৈরী করতে হবে, সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত আমার চাকুরী, বাড়ী ফিরে কখন কী করবো"! বলেই ওয়ালমার্টে চলে গেছি। ওয়ালমার্টে পৌঁছার আগেই উত্তমকে ফোন ব্যাক করলাম, বললাম, " ঠিক আছে, দাদাকে বলে দাও, আমরা যাব, তবে কাজ থেকে ফিরে ওখানে জেটে দেরী হয়ে যাবে"। আমি কল্পনাতেই দেখতে পাচ্ছিলাম উত্তমের 'মুখভার' ভাব কেটে গিয়ে সারা চেহারায় খুশীর ঝলক দেখা দিয়েছে।

আজ কাজের স্কেজিউল ছিল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। ঘুম থেকে উঠে হাতে সময় পেয়েছি আধ ঘন্টা, ফেসবুকে গিয়েই পেয়ে গেলাম বন্ধুর মেসেজ, আওয়ামীপ্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়, মনটা ভার হয়ে গেল। যতই বলি, দেশের মানুষ যা চায়, তাই হবে, তাই বলে দেশের মানুষ বুঝে না বুঝেই আগুনে ঝাঁপ দিতে চাইলে সেটা কী সহজে মেনে নেয়া যায়! ঝট করে দুই একটা স্ট্যাটাস লিখে কাজে চলে গেলাম। এক ঘন্টার লাঞ্চ ব্রেকে বাড়ী ফিরেছিলাম, সকালের স্ট্যাটাসে দুই একটা উলটো প্লাট মন্তব্য দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, আবার আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে কাজে ফিরে গেলাম। আমার উত্তম কিন্তু  আমার এইসব কান্ড কারখানার কোন সংবাদ রাখেনা, অথবা হয়তো রাখে। আমার অবস্থা হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাদের মত, জনগণ নিজ থেকেই সব বুঝে নেবে ভেবে নাকে তেল দিয়ে ঘুরে বেড়াই, আর তলে তলে ইঁদুরে সব কিছুর গোড়া কেটে দিয়েছে। আমিও ভাবি উত্তম জানেনা, দেখা যাবে অনেক ইঁদূর উত্তমের কাছে ঠিক সময়ে খবর পৌঁছে দিচ্ছে। তবে এতটুকু বাঁচোয়া, উত্তম আমার উপর কখনওই কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়না।

লাঞ্চ শেষে কাজে ফিরে গিয়ে মনে হলো, আজ বাংলাদেশে ফাদার'স ডে, কাল সকালে হক দাদা আমেরিকার বাইরে যাচ্ছেন, উনার জন্য একটা উপহার নিয়ে গেলে কেমন হয়! উত্তমের জন্য আর হক দাদার জন্য দুটি 'হ্যাপী ফাদার'স ডে' কার্ড কিনলাম, সাথে গিফট কার্ড। গিফট কার্ড মিথীলাকে দিয়ে দেওয়াবো। হক দাদা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়েছেন, বাংলা গড়গড়িয়ে পড়তে পারেন কিনা জানিনা, তবে পড়তে সময় লাগে। অথচ উনি আমার লেখালেখির সমস্ত খবর রাখেন। একদিন বলেছিলেন, লেখাগুলো যেন উনাকে দেই। বাংলা পড়তে জানেনা মানুষের জন্য বাংলা প্রিন্ট করে দিয়েই বা কী লাভ, এই ভেবে কাজটি করিনি। আগামী ঈদসংখ্যা'র জন্য একটি গল্প লিখেছি, আজ মনে হলো, গল্পটি দাদার জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাই। আমার প্রিন্টারে কালি নেই, দাদাকে ফোন করলাম, জানলাম, উনাদের প্রিন্টার নষ্ট। এত সহজে দমবার পাত্রী নই, বাড়ী ফিরেই উত্তমকে বললাম, " আমার রেডী হতে যতটুকু সময় লাগবে, তুমি তোমার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে আমার গল্পটি প্রিন্ট করে এনে দাও। ঘর থেকে গল্পটি উত্তমকে ই-মেইল করে দিয়ে ফেসবুকে কিছুক্ষণ থাকলাম, মন মেজাজ ভীষন খারাপ। বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি হবেনা, যে জাতি ধর্ম'কে বর্ম করে বসে থাকে, সেই আদি যুগের বাস্তবতা থেকে বের হতে পারেনা, সেই জাতির উন্নতি হবেনা, কোনদিনও না। অথচ আমি সেই জাতির পতাকাবাহী।

নীচে নেমে আসলাম, বাগানে গেলাম, যে গ্লাডিওলার মূল দুই বছর আগে লাগিয়েছিলাম, সেগুলো এখন দারুণভাবে ফুটতে শুরু করেছে। খেয়াল হলো, এই গ্লাডিওলার স্টিক কেন নিয়ে যাচ্ছিনা দাদার জন্য! ব্যস! গ্লাডিওলার স্টিক নিলাম, ফাদার'স ডে কার্ড নিলাম আর নিলাম আমার লেখা গল্প। দাদার বাড়ী পৌঁছেই আমি আর মিথীলা একসাথে দাদাকে শুভেচ্ছা জানালাম। দাদা তো মহাখুশী, কীভাবে সেটা প্রকাশ করলে বেশী ভাল দেখায়, সেটা ঠিক করতে করতে পাঁচ মিনিট লেগে গেল। এদিকে আমি বারবার বললাম, আমার লেখা গল্পটা আপনি অবশ্যই পড়বেন, নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে"। হুমকী শুনে দাদাকে মোটেও বিচলিত মনে হলোনা। বুঝলাম, উনার দ্বারা পড়া সম্ভবনা। তারপরেও থেকে থেকে বলতে লাগলাম গল্পটা যেন পড়ে, উনিও থেকে থেকে মুচকী হাসছিলেন।

সোমার বাবা ও দীপালোকের বাবাকে নিয়ে ওরা স্বামী স্ত্রী সাড়ে আটটা নাগাদ এসে পৌঁছেছে। খেয়াল করলাম, আজকের সন্ধ্যায় ঘরখানি 'বাবাময়' হয়ে উঠেছে। আমার তিন কন্যার বাবা, নাদিয়ার বাবা [দাদা], দীপালোকের বাবা, সোমার বাবা, সাঁঝবাতির বাবা মিলে পুরা পরিবেশ বাবাময় করে ফেলেছে। আমার বুকের কোথায় যেন সূক্ষ্ম ব্যথা বোধ হলো। এখানে কতজনের বাবা আছে, শুধু আমার বাবা নেই, আমার বাবা বাংলাদেশের সেই পুরানো ঘরের খাটটির মধ্যে চুপটি করে বসে সারা জীবনের হিসেব মিলাচ্ছেন। আমার কান্না পাচ্ছিল, ভাবছিলাম, আচ্ছা, আমার বাবা ইদানিং কী ভাবেন? মৃত্যুর কথা? কয়েকমাস আগে গত হওয়া স্ত্রীর কথা? কী ভাবেন উনি? আমাদের কথা ভাবেন? আমি বলে ফেললাম,
" তোমাদের কত মজা, দুজনের বাবা এসেছে, আমার জীবনে এই আনন্দ আসেনি, আর আসবেওনা।" দাদা  আমাকে খুব স্নেহ করেন, আমার কথাটি উনি খেয়াল করেছেন, শুধু বললেন ,' আহারে! মিঠু, কী বললা! আহ!"

দাদা সকলকে খাবার সার্ভ করলেন।  দাদা সব সময় বলেন, " লেডী'জ ফার্স্ট"। কাজেই আমাকে উঠতেই হলো। দাদা নিজে হাতে অনেক কিছু রেঁধেছেন। খাবারতা নেয়ার আগে চট করে  পাশের ঘরে চলে গেলাম, ফোনের বাটন টিপে বাবাকে ফোন দিলাম। ফোন তুলে বাবা 'হ্যালো' বলতেই বুকটা হাহাকার করে উঠলো। বললাম, " বাবা, আজকে বাবা দিবস। আমার প্রণাম নিও। তুমি কেমন আছো?"
"এই তো ভালো-মন্দে মিলিয়ে আছি আর কি!
" বাবা, মন্দ কেন আছো?"
" শরীরটা ভাল লাগেনা, কেমন জ্বর জ্বর লাগে, ম্যাজ ম্যাজ করে"
" তোমাকে এক ধরনের প্যারাসিটামল দিয়েছিলাম, রাতে খাবে একটা , ঘুমও হবে, ব্যথাও থাকবেনা।
" খাই, এক রাত পর পর"
"প্রয়োজন না থাকলে এক রাত পর পর খাবে কেন?
" একটু আরাম পাই,এইজন্য খাই।
" বাবা, আজকে আমার লেখা পড়ছো?
" চিনি গো চিনি তোমারে? শেষাংশ পড়লাম"
"আচ্ছা বাবা, একটা প্রশ্ন করি, এই যে পত্রিকা খুলে আমার লেখা দেখতে পাও, কেমন লাগে তোমার?
" ভাল লাগে, তুই কী শুনতে চাস? আমি কী নিজের মেয়ের কথা ঢেঁড়া পিটায়ে বলবো?
" কাউকে বলতে বলিনা, অন্যেরা এসে তোমাকে বলবে, সেইটা কথা না, তোমার কী অনুভূতি হয়, তাই জানতে চাইছি।
"ভাল লাগে, আমি প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুঁজে দেখি, তোর কোন লেখা আছে নাকি"
" প্রতিদিন থাকবে কীভাবে, বাংলাদেশে কত নামী-দামী লেখক আছে, আমি তো সাধারণ,  এত কম্পিটিশান দেশে, এত দূর থেকে লেখা পাঠাই, আমার কোন মামা-চাচার জোর নাই।
" হ, সাধারণই ভাল, সাধারণই তো হবি, কত অসাধারণ আইলো গেলো, কতকিছু দেখলা,"
" বাবা, একবারও কী মনে হয়, আমার সম্পর্কে যে কইতা, " এই মাইয়া মাইনষের জাতই না! পাজীর পা-ঝাড়া মাইয়া। লেখাপড়ায় মন নাই, চাকরী বাকরী করলোনা---সেই মাইয়ার লেখা পত্রিকার পাতায় দেখো, তুমি কী ভাবতে পার যে এতদিন পড়তে অন্যের লেখা, আর আজ পড়তেছ নিজের মেয়ের লেখা"
" হ রে মা, এত কথা কইতে নাই, মনে মনে রাখতে হয় কিছু কথা।
"না বাবা! সব কথা মনে রাখতে নাই, কিছু কথা কইতেও হয়, আজকে যদি তোমারে এই প্রশ্ন না করতাম, পরে আফসোস থাকতো।
" ভাল করিস, লেখালেখি ভাল কাজ, তোর তো সময়টাও কাটে, পয়সার কথা চিন্তা করিসনা, লেখালেখি কইরা আর কয় পয়সাইবা পাবি, তার চেয়ে পয়সার চিন্তা না কইরা  নিজের মেধা ছড়িয়ে দিবি, ন্যায়ের পক্ষে থাকবি।
" বাবা আশীর্বাদ কইরো, না বাবা, পয়সার কথা মাথায় আসেনা, তবে একদিন না একদিন এই লেখা দিয়াই পয়সাও আসবে। তখন আর চাকরী করবোনা, শু্ধু লিখবো, ততদিন তুমি সুসভাবে বাঁইচা থাইকো বাবা। এবার রাখি, নিমন্ত্রণ খেতে আসছি, খেতে ডাকছে।
"আচ্ছা ভালো থাকিস, আমিও ভালো থাকবো"।


মনের ভেতর কী যে অশান্তি লাগে, মনে পড়ে গেলো, গত বছর বাবা দিবসের দিন কলকাতায় ছিলাম মেজো মেয়েকে নিয়ে। ছয়দিনের সফরে গেছিলাম, অনেক কিছু দেখে আসছি, রবীন্দ্রনাথের বাড়ীতেও গেলাম। নিজের বাবার কাছে থাকতে পারি নাই, তার আগের বছরও পারি নাই, এই বছরও পারলামনা। তখন মনে হইত, আমার বাবা -মা অমর, অজর। মা অমর হলো আর কই, বাবাও বাঁচবেনা, মন বলছে কুকথা, জানিনা, আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে। মাকে আনতে পারলামনা এই দেশে, বাবাকেও না, সবার বাবা-মা বিদেশে আসে, আমার বাবা-মা এলোনা।

খাওয়া-দাওয়া করলাম,  এরপর দাদা এক কাজ করলেন, আমার লেখা গল্পটি সোমাকে বললেন পড়ে শোনাতে। আমি খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম, আমার কোন লেখা আমি দ্বিতীয়বার পড়িনা, ভুল ধরা পড়বে ভয়ে পড়িনা। এখন এই গল্পের মান কেমন হয়েছে, সেটাও প্রকাশ হয়ে পড়তে যাচ্ছে। দীপালোকের বাবা ডাঃ মুখার্জী নিজ থেকে গল্পটি পড়ে শোনাতে চাইলেন।

মুখার্জী'দা পড়া শুরু করলেন। মুখার্জী'দার গানের গলা দারুণ, গায়ও দারুণ, লেখাটি পড়তে শুরু করলেন। সবাই শুনছে, একসময় আমি খেয়াল করলাম, আমার আর ভয় বা লজ্জা, কোনটিই করছেনা। লেখা ভাল হয়েছে। গল্পের নাম 'দ্য বেনিয়ান ট্রি"। গল্প পড়া শেষ হলে সকলে হাততালি দিয়ে মুখার্জীদাকে সম্মান জানালো।  হক দাদাকে দেখলা চোখ মুছছেন, মুখার্জী'দা এবং সোমার বাবা বলছেন, 'চমৎকার"! মুখ রক্ষা কথা হলেও ক্ষতি নেই, আজ ভাল কথা শুনতেই মন চাইছিল, সকাল থেকে মনটা ভারী হয়ে আছে। রাত বারোটার দিকে সকলেই হক দাদার বাড়ী থেকে বের হয়ে এলাম। গাড়ীতে উঠেই মিথীলাকে বললাম, " মিথীলা, পাপাকে হ্যাপী উইশ করলিনা?" মিথীলা বলে, "উপস! কখন টুয়েলভ হয়ে গেল?"  বললাম, মোনা আর মিয়া, ওদের তরফ থেকেও তুই হ্যাপী উইশ করে দে। মিথীলা বড় দুই দিদির তরফ থেকে পাপাকে হ্যাপী উইশ করলো।

1 comment:

  1. পুরোটাই পড়লাম। পড়তে হয়েছে বলে। ভালো, খুব ভালো। গল্প লেখার, গল্প ছাপার, গল্প পড়ার সব অনুভূতি মুর্তিমান। বাবা-মেয়ের কথপোকথনের রসবোধট্ওা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ মিঠু।

    ReplyDelete