Monday, June 17, 2013

অসারের তর্জন গর্জন সার!!

আজ সকাল থেকে মনটা শুধুই 'বিদ্রোহী' হয়ে উঠতে চাইছিল। মনে হচ্ছিল, " আজ আমি রাঁধবোনা, চুল বাঁধবোনা, ওয়ালমার্টে যাবোনা, চাকরী করবোনা~~~~" । কারণ আজ ছিল  রবিবার, তার উপর 'বাবা দিবস', এমন দিনে ঘুম ভেঙ্গে যায় সকাল নয়টায়? দুই চোখের পাতা টেনে খুলতে পারছিলামনা, অথচ মাথায় ঠিক ঘুরছিল, আজ শুধু আমাকেই কাজে যেতে হবে, পৃথিবীর আর কেউ কাজে যাবেনা, শুধু আমি ছাড়া। গতকালকেই জেনেছি, আমার ডিপার্টমেন্টে আজ দু'জন মাত্র এসোসিয়েট কাজ করবে, বাকীরা 'ফাদার'স ডে'র ছুটি কাটাবে। দু'জনের একজন হচ্ছি আমি। বিদ্রোহের দানা তখন থেকেই বাঁধতে শুরু করে। ভাবলাম, ফোন করে জানিয়ে দেই, " আমি আজ কাজে আসবোনা"। একফাঁকে ফোনটা হাতে তুলেও নিয়েছিলাম, কী মনে করে যেন রেখে দিলাম।

মনে পড়ে গেলো, গত দু'দিন আগেই ভাবতে শুরু করেছিলাম, ওয়ালমার্টের ম্যানেজারদেরকে একটু ঢিট দিলে কেমন হয়, বেটারা ঘুঘু দেখছে, ফাঁদের কথা ভুলেই গেছে। একটানা তিনদিন 'সীক কল' দিয়ে দিলে কেমন হয়! বুঝবে মজা ।  কত বড় সাহস, মাদার'স ডে এবং ফাদার'স ডে, দুই ডে'তেই আমাকে কাজে আটকে দিয়েছে, সবাইকে ছুটি, শুধু আমাকে কাজ। ওরা ধরেই নিয়েছে, আমার এত বছরের পুরানো সংসার যখন, স্বামী-সন্তানও নিশ্চয়ই পুরানো হয়ে গেছে, পান থেকে চুন-সুপারী খসে পড়লেও ভয়ের কিছু নেই, স্বামী যেটা আছে, সেটাই থেকে যাবে অনন্তকাল। আমেরিকানদের সমস্যা, পানের পাতায় টোকা লাগলেও তাদের ঝগড়া লেগে যেতে পারে, ছুটিছাটা না  পেলে ডিভোর্সও হয়ে যেতে পারে, কী দরকার এইসব ঝামেলার মধ্যে গিয়ে। তারচেয়ে বরং রীটা আর টেরেসাকে ওয়ার্কিং স্কেজিউল দেয়া হোক, রীটার পুরানো সংসার আর টেরেসার তো সংসার বা বয়ফ্রেন্ড এর বালাই নেই, তাই এই দুজনের  নিশ্চয়ই  আলাদা করে  আনন্দ-উচ্ছ্বাস করার মত কিছু থাকতে নেই।

এত পরিকল্পনা করে শেষ পর্যন্ত ঠিক করেছি, শনি এবং রবি, এই দুই দিন  দেরী করে কাজে যাব। কিন্তু পারিনি, দেরী করে কাজে যাওয়া মানে আমারই লোকসান, তিন দিন দেরী করা মানে এক দিনের অনুপস্থিতির শামিল। এটা করবোনা, তাহলে আর কী উপায়ে ওদেরকে শিক্ষা দেয়া যায়? ঠিক আছে, লাঞ্চ ব্রেকে যখন বাড়ী আসবো, আর ফিরে যাবো না। এটাই ভাল, দেখি, কাকে দিয়ে ক্লোজিং করায়, বেটাদের নিজেকেই আসতে হবে ক্লোজিং করার জন্য। তখন বুঝবে মজা, কাজ তো জানেনা একটাও, খালি প্যান্টের পেছনের পকেটে ওয়াকী টকি নিয়ে অযথা ব্যস্ততার ভাণ দেখিয়ে ছুটোছুটী করতে থাকে।


সকাল দশটার দিকে ফেসবুক ওপেন করে সেখানে আটকে গেছি, সিদ্ধান্ত তো আগেই নেয়া ছিল, দুপুরে এই বাড়ীর 'বাবা' টির জন্য সরষে ফুলের বড়া, কুমড়ো ফুলের বড়া ভাজবো, পরোটা বানাবো, ডিমের অমলেট করে দেবো, মজার 'বাবা দিবস' হবে। বেলা ১১টার দিকে কিচেন থেকে খুট খুট আওয়াজ আসছে শুনে কম্পিউটার ছেড়ে কীচেনে গেলাম, দেখি বাড়ীর 'বাবা' হাতে প্লেট নিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সামনে দাঁড়ানো। প্লেটে সাজানো আছে তার নিজের হাতে গ্রীল করা চিকেন, ভুট্টা, চিকেন ডাল এবং কিছু পচা ভাত। ভাতগুলো যে পচে গেছে, তা ভাতের চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। বললাম, " এত তাড়াতাড়ি খাবে, আমি তো ভেবে রেখেছিলাম, সর্ষে ফুলের বড়া ভাজবো"। সে বলে, " তুমি যা ভেবে রেখেছো সেভাবেই এগিয়ে যাও, আমি আমার ভাবনা মতো কাজ করি"।
বললাম, এখন সকাল এগারোটা বাজে, এখন লাঞ্চের সময় না, একটু অপেক্ষা করো, ফুলগুলো  তোমার জন্যই রেখেছি"।
-এখন সকাল ১১টা নয়, বলো, বেলা ১১টা বেজে গেছে, আমার ক্ষিদে পেয়েছে, আমি খেয়ে নিচ্ছি। তুমি বড়া ভাজো, পরে খাওয়া যাবে।"
এতদিন একটু একটু করে সরষে ফুল জমিয়েছিলাম, আর আজ বলে কিনা, "ভাজো, পরে খাওয়া যাবে"। ভাবতে শুরু করেছি, বিদ্রোহটা  ঘর থেকেই শুরু করে ফেলবো নাকি, দেই ছুঁড়ে ফুলের পাপড়ি ডাস্টবিনের মধ্যে, নিকুচী করেছি সরষে ফুলের বড়ার। ভাজবোনা বড়া, যার জন্য করি চুরী, সেই বুকে হানলো ছুরী!!! ঠিক আছে, আর কোনদিন গাছ থেকে ফুল-ফল তুলে আনবোনা, বুঝবে তখন 'বাগান করার' মজা। ঘড়িতে বাজে সাড়ে এগারোটা, মাথাটা এলোমেলো লাগছে, কাজে ফোন করে নাহয় বলে দেই, আজ আমি দুই ঘন্টা পরে আসবো। আবার ভাবি, ফোন করার প্রয়োজন কি, ফোন করলে তো আর ওদেরকে শিক্ষা দেয়া যাবেনা, ওরা তো জেনেই যাবে আমি দুই ঘন্টা পরে হলেও ঠিকই কাজে উপস্থিত থাকবো। ফাদার'স ডে বলে কথা,  জোড়াতালি দিয়ে দুই ঘন্টা পার করা যাবে। আর আমি যদি কিছুই না জানাই, তাহলে ওরা অনিশ্চিতের অপেক্ষায় কাটাবে, যেটা আমি চাইছিলাম।

বড়া ভাজা শেষ করে কাঁটায় কাঁটায় ১২টায় ঘর থেকে বের হলাম। কাজে পৌঁছুলাম ১২টা বেজে ১০ মিনিটে। ওয়ালমার্টে পৌঁছে দেখি, চারদিকে শুধু 'হ্যাপী ফাদার'স ডে' গন্ধ, আর আমার ঘরে 'আনহ্যাপী ফাদার' কে দেখে এলাম। বাড়ীতে মিথীলাকে ফোনে বললাম, " আজ পাপাকে নিয়ে সন্ধ্যায় বাইরে গিয়ে খেয়ে আসবে"। মিথীলার তো খুশী আর ধরেনা। সিদ্ধান্ত নিলাম, আজ লাঞ্চ ব্রেকে বাড়ী গিয়ে আর ফিরবোনা। যেমন ভাবা, তেমন প্রচার। প্রচার করতে লাগলাম, আজ আমি লাঞ্চ ব্রেক থেকে ফিরবোনা। টেরেসা জিজ্ঞেস করে, -তাহলে কে ক্লোজ করবে? আমার উত্তর, যার মন চাইবে সেই ক্লোজ করবে। আমার মন চেয়েছে, আমি আজ আর ফিরিবোনা।


লাঞ্চ ব্রেকে বাড়ী ফিরে দেখি, বাপ-বেটি ঘরে নেই, সিনেমা দেখতে গেছে। বিদ্রোহ দানা বাঁধতে শুরু করলো, সবার 'বাবা দিবস' আছে, শুধু আমার বাবা দিবস নেই। থাকবোনা বাসায়, ফিরে যাব ওয়ালমার্টে,  যাওয়ার আগে শুধু মচমচে করে আলু ভাজলাম আর পেঁয়াজ সম্বার দিয়ে মুসুরীর ডাল রাঁধলাম, আমি এসেছিলাম সেই চিহ্ন রেখে গেলাম, অপরাধবোধে ভুগুক সবাই, বুঝুক আমার কন্যার বাপ, কন্যার মা'কে ফেলে শুধু কন্যাকে সাথে নিয়ে সিনেমা দেখার মজা!  আধ ঘন্টা সময় বেশী থাকলাম, চলে গেলাম কাজে।  ফ্লোরে ঢুকতেই  ডেভিডের সাথে দেখা, দুই হাত উপরে তুলে নাচতে নাচতে আসছে। কাছে এসেই বললো, " তুমি এসেছো? শুনলাম, তুমি নাকি আজ আর ফিরবেনা"! বললাম, " তেমনই বলেছিলাম"। সে বলে, " কী মজা, থ্যাঙ্কস গড!  তুমি ফিরে এসেছো, এদিকে এতক্ষণ আমার দম বের হচ্ছিল কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে। তুমি বাঁচালে।" মনে মনে খুশী হলাম, প্রাথমিক জয় হয়েছে, ম্যানেজারের দম বের হওয়ার যোগার হয়েছে তাহলে!!

ফ্লোরে যেতেই শুনি, একজন ফোন চুক্তি করার জন্য এক ঘন্টা ধরে অপেক্ষায় আছে। তাকিয়ে দেখি ঢ্যাঙা লম্বা এক ছেলে ঊদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে দেখতে পেয়ে তোতলাতে তোতলাতে জানালো, সে হাতে করে ফোন নিয়ে এসেছে, নতুন  চুক্তি সই করে পুরানো ফোনকে অ্যাক্টিভেট করবে। বেকুবটার কথা আর শেষ করতে দিলামনা, বললাম, " তোমার ক্রেডিট রেকর্ড চেক করা হবে, যদি রেকর্ড ভালো হয়, তাহলে বিনা ডিপোজিটে তুমি কন্ট্র্যাক্ট করতে পারবে, আর যদি খারাপ হয় তাহলে টাকা ডিপোজিট রাখতে হবে। আর  আমাদের কাছ থেকে নতুন ফোন পাবে।"
"না, আমি এই পুরানো ফোনই ব্যবহার করবো।"
-তা করো, কিন্তু আমাদের কাছ থেকে তুমি নতুন ফোন পাবে।
- আমার মা আমাকে এই ফোনটা দিয়েছে, সেটা মায়ের নামে কন্ট্র্যাক্ট,  আমি লাইন ক্যানসেল করে চলে এলাম, নিজের নামে নতুন লাইন নেবো। যদি আমার ক্রেডিট ভালো না হয়--------
-ক্রেডিট ভালো না থাকলে অনেক টাকা ডিপোজিট দিতে হবে।
-আচ্ছা আমি দেবো, তুমি চেক করো।

ভাল পাগলের পাল্লায় পড়েছি, কেন যে আবার ফিরতে গেলাম, বাসায় ছিলাম, সেই ভালো ছিল। ক্রেডিট চেক করে বললাম, তোমাকে ৫০০ ডলার ডিপোজিট রাখতে হবে।
 বলে, কোন সমস্যা নাই, ৫০০ ডলার ডিপোজিট দেবো, আর আমার পুরানো ফোনটাকেই রাখতে চাই।
- রাখো তোমার ফোন তোমার কাছে, তোমার ফোন আমরা নেবোনা, আমরা বরং তোমাকে আরেকটি ফোন দেবো।
-আচ্ছা তাহলে একই রকম আরেকটি ফোন দাও।
-কেন, একটা ফোন তো আছেই, এখন অন্য মডেল নাও।
-না, আমি স্যামসাং গ্যালাক্সী থ্রী চাই এবং লাল রঙই চাই।

কী আশ্চর্য্য! এই ছেলের সমস্যা আছে, হাতে ধরা আছে লাল রঙের স্যামসাং গ্যালাক্সী, আবার ডুপ্লীকেট ফোন চাইছে, কে জানে,  ফোন অ্যাক্টিভেট করার পরে আবার বলবেনাতো, টাকা নেই?  মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে, তখন খুব অসুবিধা হয়, কন্ট্র্যাক্ট ক্যানসেল করতে হয়,  ব্র্যান্ড নিউ ফোন পাঠাতে হয় ক্লেইম ডিপার্টমেন্টে, অনেক ঝামেলা, তার উপর আজ রবিবার।  বললাম, আচ্ছা, তোমার হাতে একটা লাল ফোন আছে, তুমি এবার নাহয় নীল নাও, অথবা সাদা গ্যালাক্সী নাও।
-না, লাল রঙ আমার পছন্দের, তাই দুইটা লাল গ্যালাক্সী থাকবে।

কথা না বাড়িয়ে ফোন অ্যাক্টিভেট করে যখন বললাম, ৫৮২ ডলার দিতে হবে, সে পকেট থেকে চেকবই বের করে চেক ছিঁড়ে দিল। তখনই আমার মনের মধ্যে খচ করে উঠেছে, এই চেক না জানি বাতিল হয়ে যায়। চেক স্ক্যানারে দিতে 'ডিনাইড' হয়ে গেল। যা ভেবেছিলাম, তাই। ঐ সময়টাতেই কী কারণে যেন ম্যানেজার ডেভিড আমার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিল। সে লক্ষ্য করেছে ব্যাপারটা, আমি ছেলেটিকে বললাম, চেক ডিনাইড, এখন কীভাবে দাম দিবে?
সে দেখি নির্বিকারভাবে বলে, ওহ তাই, চেক ডিনাইড হয়ে গেলো? তাহলে তো আর ফোন নিতে পারছিনা।

আমার মাথায় আগুন ধরে গেল, স্বভাবের বাইরে গিয়ে বললাম, - তোমাকে তো আগেই বলেছিলাম, অনেক টাকা লাগবে, তাছাড়া একবার ফোন অ্যাক্টিভেটেড হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকবেনা। তুমি আমার কথা শুনতে চাইলেনা।
সে বলে, " আমি কী জানি?  আমার চেক  অ্যাকাউন্টে মনে হয় টাকা নেই।
( মনে মনে বলি, আমার আগেই মনে হয়েছিল, তু্মি একটা  বিশাল যন্ত্রণা )
 ডেভিড বলে, তুমি তোমার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করো।
-মনে হয় ঐটাতেও টাকা নেই, থাক, আমার ফোন লাগবেনা।
-ডেভিড বলে, তবুও দেখোনা একবার, যদি কার্ডে টাকা থাকে!
আমি গুনগুন করে বললাম, কার্ডে কিছুই নেই।
ডেভিড বলল, বুঝতেই পারছি।

ছেলেটি আবার বললো, থাক আমার ফোন লাগবেনা!
-
বলি, ফোন লাগবেনা বললেতো চলবেনা, তোমাকে কতভাবে বুঝিয়ে বলেছি, তারপরেও আমাকে দিয়ে এত দামী ফোন অ্যাক্টিভেট করিয়েছ, এখন বলছো নিবেনা, এটা তো ঠিক কাজ হচ্ছেনা।

ডেভিডের হতাশভাবে  আস্তে করে শুধু বলল, ওয়ার্থলেস!
আমি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা 'ওয়ার্থলেস'কে বললাম, দাঁড়িয়ে আছ কেন, আমাদের সাথে তোমার আর কোন কাজ তো নেই।

আমি কী তাহলে যেতে পারি?

একবার ইচ্ছে হচ্ছিল, দুইটা চড় দিতে, কী ঝামেলা বাড়িয়ে দিয়ে গেলো আমার, রবিবার সব ছুটি থাকে, কর্পোরেট অফিস বন্ধ হয়ে যায় অনেক আগে, হট লাইনে ফোন করতে হবে এই চুক্তি বাতিল করার জন্য। কোন কুক্ষণে যে লাঞ্চ ব্রেক থেকে ফিরে এলাম। মূর্তিমানের দিকে তাকিয়ে বললাম, " তুমি এবার যেতে পারো, বাকী কাজ আমাকে সারতে হবে।

ডেভিড বলে, কী ঝামেলা বেঁধে গেল!
-এইজন্যই আমি বলে গেছিলাম, আজ আর ফিরবোনা, আমি জানতাম, আজকের দিনটা একটা বাজে দিন।
-মন খারাপ করোনা, বুঝতে পারছি, মেজাজ খারাপ হওয়ারই কথা, সমস্যা হলে আমাকে পেইজ করো, যদিও আমি কিছুই জানিনা কন্ট্র্যাক্ট বাতিলের  নিয়ম কানুন, তবুও পেইজ করো।

-ধন্যবাদ তোমাকে, প্রয়োজন হলে জানাবো।

*** অন্যদিন হলে এই কন্ট্র্যাক্ট বাতিল করতে ২০  মিনিট লাগতো, আজকে লেগেছে ৪০ মিনিট, জানতাম, এমনই হবে, সকাল থেকে মন বিদ্রোহ করেছিল, না আসলেই পারতাম, কাজের প্রতি বেশী সিনসিয়ারিটি দেখাতে গিয়েই এভাবে  ধরা খেলাম।

3 comments:

  1. Aponer bloge ta aktu deplop korte hobe

    ReplyDelete
  2. খুব ভালো লাগলো। একটা মানসম্পন্ন ছোটগল্প। ভাষাও বেশ ঝরঝরে। হিউমারও আছে। একটা আমেরিকান ও নন-আমেরিকান আচরণ বা সুবিধাগত প্রেক্ষিতও বেশ ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ রীতা।

    ReplyDelete
  3. Md M Rahman (Tuhin)June 17, 2013 at 10:39 AM

    সুন্দর সাবলিল লেখা...অভিমানগুলো ভালোবাসা মেসানো... ঘরের বাবাটা বেশ ভাগ্যবান।

    ReplyDelete