Tuesday, March 26, 2013

মার্চ মাসে বিশ্বের যে দেশগুলোর স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল!

২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। ‘স্বাধীনতা’ মানেই পরাধীনতার শৃংখল ভাঙ্গার গান। বিশ্বের প্রতিটি প্রাণীর স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে, আর মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। সেই মানুষকেই যদি অন্যের শাসনাধীনে থাকতে হয়, কখনও না কখনও তার অন্তরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠে। পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার জন্য মন আঁকুপাকু করে। দিনে দিনে বুকের ভেতর সাহস সঞ্চয় করে এবং এক সময় বারুদের মত জ্বলে উঠে। পরাধীনতার যন্ত্রণা যখন একজন হয়ে অন্যজনকে ছুঁয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে আশপাশের সকলের মধ্যেই প্রতিবাদী চেতনার জন্ম হয়, তখনই মানুষ জোটবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মাত্রা যত জোরালো হয়, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়ার শক্তিও তত জোরালো হয়ে উঠে। আর এভাবেই জন থেকে দল, দল থেকে গোষ্ঠী, গোষ্ঠী থেকে জাতি পর্যন্ত ব্যাপৃত হয়ে যায় প্রতিবাদের আগুন। প্রতিবাদের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় অন্যায়কারীর সিংহাসন, প্রতিবাদের কাছে নতি স্বীকার করতেই হয় জুলুমবাজদের।
এই বিশ্বে প্রায় ১৭৪ টি দেশেই কোন না কোন সময় প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছিল, প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছিল দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উল্লিখিত সংখ্যার দেশগুলো যুগের পর যুগ ধরে অন্য দেশের অধীনে ছিল, পরাধীন দেশগুলোর পরাধীন জনগণ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছে কয়েক যুগ ধরে, আন্দোলন তুঙ্গে উঠতেই বীরদর্পে পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত হয়ে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। যে নির্দিষ্ট দিনটিতে ‘স্বাধীনতা’ ঘোষিত হয়েছে, সেই দিনটিকেই ‘স্বাধীনতা দিবস’ বা ‘ইনডিপেন্ডেন্ট ডে’ হিসেবে প্রতি বছর পালন করা হয়ে থাকে।
হিসেব করে দেখা যায়, বারো মাসের প্রতিটি মাসেই কোন না কোন দেশের ইনডিপেন্ডেন্স ডে বা জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়। মার্চ মাসে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও আটটি দেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। যে আটটি দেশ মার্চ মাসে স্বাধীন হয়েছিল, তাদের প্রতিটি দেশই অনেক বছর ধরে শক্তিশালী গ্রেট বৃটেন, জার্মানী, অস্ট্রিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স কর্তৃক অধিকৃত ছিল। সেই পরাধীন দেশগুলো হচ্ছে,
১) বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ২) ঘানা, ৩) হাঙ্গেরী, ৪) লিথুয়ানিয়া, ৫) মরিশাস, ৬) তিউনিসিয়া, ৭) নামিবিয়া, ৮) গ্রীস।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ১৯৯২ সালের ১লা মার্চ যুগোশ্লাভিয়ার অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে। বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দক্ষিন-পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। বসনিয়ার রাজধানী শহরের নাম সারাজেভো। বসনিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পৃথিবীর পর্যটকদেরকে বিমোহিত করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত বসনিয়া ছিল সার্ব, ক্রোয়েট এবং শ্লোভেনিয়ানদের রাজ্য হিসেবে পরিচিত, ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাম বদলে নতুন নাম হয় যুগোশ্লাভিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুগোশ্লাভিয়া ফেডারেশান নামে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্ট্যাটাস পায়। বসনিয়ানরা যুগোশ্লাভিয়ার অধীনস্থ হয়ে থাকতে চায় নি। আভ্যন্তরীন যুদ্ধ (বসনিয়া যুদ্ধ), হানাহানির শেষে ১৯৯২ সালে সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটিয়ে সোশ্যালিস্ট ফেডারেল রিপাবলিক অব যুগোশ্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা নামে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
ঘানা স্বাধীন হয়েছে ১৯৫৭ সালের ৬ই মার্চ, নতুন নাম রিপাবলিক অফ ঘানা। পশ্চিম আফ্রিকার অন্তর্গত ছোট এই দেশটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। প্রাচীন ঘানা সাম্রাজ্যের নামানুসারে দেশটির নাম হয়েছে ঘানা, যার আভিধানিক অর্থ ‘যোদ্ধা রাজ’। ঘানা ছিল স্বর্ণখনির জন্য প্রসিদ্ধ। ফলে প্রাচীনকাল থেকেই এখানে বিভিন্ন সময়ে পর্তুগীজ, ডাচ, স্প্যানিশ এবং ব্রিটিশ বনিকদের আস্তানা তৈরী হয়েছিল। স্বর্ণখনির প্রচার ও প্রসারের একপর্যায়ে ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশরাজ ঘানাতে ‘গোল্ড কোস্ট ক্রাউন কলোনী’ স্থাপন করেছিল, এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসন চলেছিল ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত। কলোনিয়াল শাসন ব্যবস্থায় ঘানার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, প্রায়ই ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন, বিদ্রোহ, খন্ড যুদ্ধ চলতো। ১৯৪৮ সালের দিকে দাঙ্গা, বিদ্রোহ যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন ঘানার অবিসংবাদিত জননেতা ‘নক্রুমা’কে অ্যা্রেস্ট করা হয়। নক্রুমা যতদিন জেলবন্দী ছিলেন, ততদিন তাঁর গঠিত রাজনৈতিক দল ‘কনভেনশন পিপল পার্টি’ স্বাধীনতার আন্দোলন চালিয়ে যায়। ১৯৫২ সালে ‘নক্রুমা’কে বন্দীদশা থেকে মুক্তি দেয়া হয়। বৃটিশরাজের সাথে দেন- দরবার চলতে থাকে, এবং ১৯৫৭ সালের ৬ই মার্চ রাত ১২টার সময় নক্রুমা ঘানার স্বাধীনতা ঘোষনা করেন।
মার্চে স্বাধীনতা অর্জন করে লিথুয়ানিয়া। ১৯৯০ সালের ১১ই মার্চ সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্লক থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়।
‘ডোডো’ পাখীর দেশ মরিশাস। আশপাশের কয়েকটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে মরিশাস, যা বর্তমানে ‘দ্য রিপাবলিক অব মরিশাস’ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে। স্বাধীনতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটি পর্যায়ক্রমে ডাচ, ফ্রেঞ্চ এবং সর্বশেষ ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। ১৯৬৮ সালের ১২ই মার্চ ব্রিটিশ শাসন থেকে মরিশাস মুক্ত, স্বাধীন হয় এবং ‘দ্য রিপাবলিক পব মরিশাস’ নামে নতুন রাষ্ট্র গঠন করে।
মার্চে স্বাধীনতা লাভকারী আরেকটি দেশ হচ্ছে হাঙ্গেরী। সেন্ট্রাল ইউরোপের এই দেশটির রাজধানীর নাম বুদাপেস্ট। ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার শাসনাধীনে থাকা দেশটিতে স্বাধীকার আন্দোলনের লড়াই শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকে। সেই ধারাবাহিক আন্দোলন ইউরোপিয়ান অন্যান্য দেশগুলোর ‘রেভ্যুলিউশান অব ১৮৪৮’ এর রূপ ধারণ করে এবং অবশেষে ১৮৪৮ সালের ১৫ই মার্চ অস্ট্রিয়ার অধীনতা থেকে মুক্ত হয়।।
উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট দেশটির নাম তিউনিসিয়া। অত্যন্ত গরীব এই দেশটি ১৮৬৯ সালে নিজেদেরকে ‘দেউলিয়া’ ঘোষনা করার পর আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে তিউনিসিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। অর্থনৈতিকভাবে ঋণগ্রস্ত দেশটিতে ১৮৮১ সালে ৩৬,০০০ সদস্যের সেনাবাহিনী নিয়ে ফ্রান্স দেশটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং দেশটির দখলদারিত্ব নিয়ে নেয়। তিউনিসিয়ার জনগণ ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় থাকতে চায়নি বলেই ধীরে ধীরে আন্দোলন শুরু করে। একসময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ‘হাবীব বরগুবা। অবিসংবাদিত নেতা হাবীব বরগুবা’র (পরবর্তীতে তিউনিসিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট) নেতৃত্বে ১৯৫৬ সালের ২০শে মার্চ, দখলদার ফ্রান্সের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘দ্য রিপাবলিক অব তিউনিসিয়া’ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই পায়।
‘নামিব’ মরুভূমির নামানুসারে যে দেশটির নাম হয়েছে ‘নামিবিয়া’, সেই দেশটির ভুখন্ডে ১৮৮৪ সালে জার্মানবাহিনী ঘাঁটি গেড়েছিল এবং নিজেদের কলোনী গঠন করেছিল। পরবর্তীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জার্মান বাহীনিকে পরাস্ত করে সাউথ আফ্রিকা নামিবিয়া ভূখন্ডের দখল নেয়। সাউথ আফ্রিকার অধীনতা থেকে মুক্তি পেতে নামিবিয়ানদের মধ্যে জন্ম নেয় স্বাধীনতার চেতনা, দানা বাঁধতে থাকে আন্দোলনের স্পৃহা। আন্দোলন সফলতার মুখ দেখে ১৯৯০ সালের ২১শে মার্চ, জন্ম হয় স্বাধীন দেশ ‘দ্য রিপাবলিক অব নামিবিয়া’।
গ্রীসের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল ১৮২১ সালের ২৫শে মার্চ। ‘দ্য গ্রীক ওয়্যার অব ইনডিপেন্ডেন্ট’ যা ‘গ্রীক রেভ্যুলিউশান’ নামে পরিচিত, তা ছিল ওট্টোমান ( টার্কিশ বীর, যিনি ১৩শ শতাব্দীতে এশিয়ার অনেক দেশ জয় করেছিলেন) রাজত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ, গ্রীক ওয়্যার ছিল গ্রীক বিপ্লবীদের একটি সফল সংগ্রাম। শক্তিশালী ওট্টোম্যান সম্রাটকে পরাজিত করার জন্য রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং আরও বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশ সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। ১৮১৪ সালে ‘ফিলিকি এটেরিয়া’ নামে গুপ্তবাহিনী গঠিত হয় যারা দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ করেছিল শাসক বাহিনীর বিরুদ্ধে। এদিকে ওট্টোম্যানের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল মিসরীয় বীর মেহমেত আলীর পুত্র ইব্রাহিম পাশা। কিন্তু রাশিয়া, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের ত্রিশক্তির কাছে ওট্টম্যান-মেহমেত আলীকে পরাজয় বরণ করতেই হয়। ১৮৩২ সালে গ্রীস চূড়ান্তভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পায়। ২৫ শে মার্চ আধুনিক গ্রীসের জাতীয় দিবস, তাই এই দিনটিতেই গ্রীসের স্বাধীনতা দিবস উদফযাপিত হয়।
২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান ‘দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান(মুলতঃ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান)-এর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের গভীর রাতে পশ্চিম পাকিস্তানের মিলিটারীরা পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের উপর ট্যাঙ্ক, কামান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ২৫শে মার্চের গভীর রাতেই পাক আর্মীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগেই দিবাগত ২৬শে মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র লিখে তা দেশব্যাপী সম্প্রচারের দায়িত্ব সহযোগী নেতাদের উপর দিয়ে যান। সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয় চট্টগ্রাম থেকে। খুবই দূর্বল বেতার তরঙ্গের কারণে দফায় দফায় প্রচারিত স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের সাড়ে সাত কোটি জনগনের অধিকাংশের কানে পৌঁছেনি। ২৭শে মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেছিলেন এবং সামরিক, আধা সামরিক, পুলিশ, ই পি আর বাহিনীসহ দেশের আপামর জনসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য আহবান জানিয়েছিলেন। মেজর জিয়াউর রহমানের কন্ঠস্বর দেশের নানা প্রান্তে থাকা অনেকের কানেই পৌঁছেছিল। ২৭শে মার্চ তারিখে পঠিত স্বাধীনতার ঘোষণাটি যেহেতু ২৬শে মার্চের দিবাগত রাতে রচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কর্তৃক, তাই ২৬শে মার্চ তারিখটিই বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

1 comment:

  1. ব্লগ দেখে গেলাম। সাদামাটা সুন্দর ব্লগ। আর লেখাগুলো যেহেতু আপনার তাই খারাপ হবে না এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাক‍া যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে কমিউনিটি ব্লগের ভিড়ে ব্যক্তিগত ব্লগের দিকে নিজেরই একসময় আগ্রহ থাকে না। ধৈর্য ধরে যদি এটাকে নিয়মিত পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়।
    শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি।

    ReplyDelete