Thursday, December 27, 2012

হার না মানা জেদ!

গল্পকবিতা ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট আছে। নতুন নতুন লেখক সৃষ্টির প্রয়াসে সেখানে প্রতি মাসে সকলের কাছে একটি  গল্প ও একটি কবিতা লিখে জমা দেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। লেখার বিষয়বস্তু এবং লেখা জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগেই বলে দেয়া হয়। সংগৃহীত গল্প ও কবিতার উপর মাসব্যাপী ভোট নেয়া হয়।  পাঠক ভোট থেকে সেরা পঁচিশ নির্বাচিত হয় এবং তারপর বিচারকের কাছে পাঠানো হয়। পাঠক ভোট এবং বিচারকের দেয়া নাম্বার থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থাণ নির্ধারণ করা হয়।

 এই ওয়েবসাইটে এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে আমিও একটি করে গল্প লিখে জমা দেই।  গল্পের মান কেমন হয়? সেটা অবশ্য বুঝতে পারছি না। শুরুর দিকে আমার লেখা গল্প সেরা পঁচিশে অনায়াসে ঠাঁই পেতো, কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, সেরা পঁচিশে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এর মানে কি! হয় আমার লেখার মান খারাপ হচ্ছে, নাহয় তো ভাল ভাল লেখকের অংশগ্রহণ বাড়ছে। মহাচিন্তায় পড়ে গেছি। কারণ, নিজের মূল্যায়ন থেকে এটুকু বলতে পারি, আমার মধ্যে  যে কোন ব্যাপারেই  ' হার মানবো না' টাইপ জেদ আছে।   স্বাভাবিক সময়ে  আমি খুব হালকা মুডের মানুষ, হাসি-আনন্দ, আড্ডা ফূর্তিতে থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু যেই মাত্র প্রতিযোগীতার আসরে নামবো, তাহলেই আমি আমূল বদলে যাই। আমার আশপাশ ভুলে যাই, বাস্তবতা ভুলে যাই, আমার সেই 'হার মানবো না' জেদ আমাকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে।  এ  কারণেই সেরা পঁচিশে স্থাণ পাওয়ার জন্য আমি আরও ভালো লেখার চেষ্টা করি। তারপরেও সেরা পঁচিশে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছে। পাঠকের ভোটে নির্ধারিত হয় সেরা পঁচিশ, ব্যবসায়ীর কাছে যেমন গ্রাহক লক্ষ্মী, লেখকের লক্ষ্মী হচ্ছে পাঠক। তাই আমি পাঠকের মনোরঞ্জনের চেষ্টায় নিজের জেদটিকে ব্যবহার করি। আমার এই জেদটি বেশীর ভাগ সময় মনের ভেতর সুপ্ত থাকে। আমার অজান্তেই সময়মত তা বেরিয়ে আসে। প্রতিযোগীতা যত বেশী কঠিন হয়, আমার জেদের শক্তিও তত বেশী প্রবল হয়।

ঘ্যানানি প্যানানি অনেক করলাম। মূল গল্পে চলে আসি। গল্প কবিতা ডট কমে ডিসেম্বার মাসের টপিক ছিল 'ঈর্ষা'। গল্প লিখে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৬শে ডিসেম্বার। ডিসেম্বারের এক তারিখ থেকেই মনে মনে মক্সো করা শুরু করেছি, গল্পটি কত বেশী সুন্দর, কত বেশী প্রতিযোগীতামূলক হিসেবে লেখা যায়। আজ যদি একরকম ঘটনা ভেবে রাখি, কালকেই তা বদলে ফেলি। তবে বদলালেও প্রতিটি বিষয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রেখেছি। বলা তো যায় না, মূল গল্প লেখার সময় কোন বিষয়টি ভালো লেগে যায়!  এটাই আমার গল্প লেখার পদ্ধতি, এভাবেই আমি লিখি। আর যখন তখন লেখাগুলো যখন তখনই লিখি।  যেমন এ লেখাটি আমার 'যখন তখন লেখা'।

 এতদিনে আমার বাড়ীর প্রতিটি দূর্বাঘাসেরও জানা হয়ে গেছে যে বাড়ীর মালকিন ওয়ালমার্টে চাকুরী করে। ওয়ালমার্টের চাকুরীতে উইকএন্ড বলে কিছু নেই, সিজনাল ছুটি বলেও কিছু নেই। ওয়ালমার্টের পলিসিতে লিখিতভাবেই নিয়ম আছে, অক্টোবার থেকে ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত কেউ কোন ভ্যাকেশান লীভ পাবে না। প্রতিটি বাড়ীতে যখন আনন্দ উৎসব চলে, ওয়ালমার্ট এসোসিয়েটের বাড়ীতে চলে 'ক্রন্দন উৎসব'। ডিসেম্বার এলে সারাক্ষণ শুধু কাজ, কাজ, আর কাজ।  আনন্দ-উৎসব করবো কখন! বেশীর ভাগ সময় মন মেজাজ ঠিক থাকেনা। অল্পেই রেগে যাই, কথায় কথায় চাকুরী ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করি। পরিবারের সকলের মাঝেই আমাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তার মাত্রা বেড়ে যায়। এ বছর তাদের দুঃশ্চিন্তার মাত্রা এতই বেড়ে গেছে যে তাদের মনে হচ্ছে আমাকে খুব তাড়াতাড়ি একজন সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।

এ বছরের ক্রীসমাস ছুটিতে আমার বাড়ীতে আমার মেয়েরা এসেছে,  বোন এসেছে। ছয় বছর পর দেখা হলো বোনের সাথে। ও আমার মামাতো বোন হলেও আমার কাছে সন্তানের মতো। বাড়ী ভর্তি আপন জন, আর আমি ব্যস্ত থাকি ওয়ালমার্টে। কাহাতক ভালো লাগে! বাড়ী ফিরি মন খারাপ করে, কথায় কথায় হা-হুতাশ করি। মনে পড়ে যায়, 'ঈর্ষা' নিয়ে গল্প লিখা হয়ে উঠেনি। একটা গল্প লিখা শুরু করেছিলাম, প্রায় ১৫০০ শব্দ নিয়ে লেখা হয়েও গেছিল, হঠাৎ করেই মনে হলো, গল্পটি এগোতে চাইছে না। কী যন্ত্রণা! আবার নতুন করে লিখতে গেলে, কখন লিখবো! ভেতরের হতাশাগুলো নানাভাবে প্রকাশিত হতে দেখে তিন মেয়ে আর বোন মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আমার ডিপ্রেশান চলছে। খুব বেশীদিন আমাকে এভাবে থাকতে দিলে অচিরেই বড় ধরণের সর্বনাশ ঘটে যাবে। কাজেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যেতেই হবে।

বছরে একদিন, পঁচিশে ডিসেম্বার ওয়ালমার্ট ছুটি থাকে। কাজেই এই দিনটি সকল এসোসিয়েট নিজ নিজ বাড়ীতে থাকতে পারে। আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার মাথায় আনন্দের বদলে ছিল টেনশান। আর মাত্র একদিন বাকী, 'ঈর্ষা' নিয়ে গল্প জমা দিতে হবে। অথচ বাড়ী ভর্তি আমার আপনজনে। আগের রাতে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে এসেছিল, সবাই মিলে ক্রীসমাস ইভ পার্টি করেছি, তাই ২৫শে ডিসেম্বারের সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেরী হয়ে গেছে। সারাটিদিন কেটে গেছে পরিবারের সকলের সাথে, হাসি-আনন্দে, গল্প-গুজবে, খাওয়া-দাওয়ায়। বলে রাখা ভালো, বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি এ বছরের জুনে, বিয়ের পর ওরা দু'জনে একসাথে এই প্রথমবার আমাদের কাছে এসেছে। কাজেই আনন্দের মাত্রা অনেক বেশী। আনন্দ করতে আমার আপত্তি নেই, সব সময় আনন্দ করতে ভালোবাসি, কিন্তু মাথায় টেনশান নিয়ে আনন্দ করতে পারি না। আমার টানাপোড়েন ওরা সকলেই বুঝতে পারছিল। রাত বারোটার পরে ওরা আমাকে ছেড়ে দিল গল্পটি লিখে শেষ করার জন্য। কম্পিউটারে বসে আমার কান্না পাচ্ছিল। যে দুটি লেখা মোটামুটি তৈরী করে রেখেছিলাম, তার কোনটিই আমার পছন্দ হচ্ছিল না। নতুন করে লেখা শুরু করলাম।  পাশের বিছানায় ছোট বাচ্চা নিয়ে শুয়ে থাকা বোন টুম্পা বারবার আমাকে বলতে লাগলো,

" ফুলদিভাই, এতো রাত জাগো কেনো? তোমার শরীরটা খুব খারাপ হয়ে গেছে। রাত জাগলে আরও খারাপ হবে।
-নারে! গল্পটা আজকের মধ্যে শেষ না করতে পারলে লাস্ট ডেট পার হয়ে যাবে। কাল থেকে ঠিক সময়ে ঘুমাবো।

-ফুলদিভাই, তোমার শরীরটা এত খারাপ হয়েছে কেনো?

-অনেক কারণ আছে, প্রথম কারণ, লেখালেখির জন্য আমাকে রাত জাগতে হয়, এই রাত জাগা আমার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে,  আবার সকালেই উঠতে হয়, চাকরীতে যেতে হয়, মাত্র চার-পাঁচ ঘন্টা ঘুমাই। এইজন্যই মনে হয় শরীরটা খারাপ হয়েছে।

-তুমি তো জ্ঞান পাপী। সবই বুঝ, তারপরেও অনিয়ম করো।

-অ্যাই মাইয়া চুপ থাক, তুই ঘুমা, গল্প শেষ না কইরা আমি উঠবো না।

-গল্প শেষ হইব কখন? কত বড় গল্প?

-এখনই শেষ হয়ে যাবে। ৩০০০ শব্দের মধ্যে শেষ করবো।

-কত হাজার? তুমি কি সুচিত্রা ভট্টাচার্য্য হয়ে গেছো?

-নাহ! আমি রীতা রায় মিঠু, সুচিত্রা ভট্টাচার্য্য হমু কিভাবে?  আচ্ছা তোর সমস্যা কি? তোর ঘুম তুই ঘুমা, এতো প্যাচাল পারিস না। আমি এখনই লেখাটা সাবমিট করে দিবো। তাইলে ঘুমটা ভালো হবে।

-যা ইচ্ছা করো। আমার কি, শরীর খারাপ হইলে হাসপাতালে পইরা থাকবা।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে একটি গল্প মোটামুটি দাঁড়িয়ে গেলো। আমার পছন্দ হয়ে গেলো গল্পটি। গল্পটি যে পেজে লেখা শুরু করেছিলাম, সেখানে গল্পের নাম লেখা ছিল 'চোখের জলে'। গল্পের কাহিণীর সাথে এই নাম যাবে না, নাম বদলে দিলাম, একজন কবির অপমৃত্যু। এবার গল্পটি ডেস্ক টপে সেভ করতে চাইলাম।  টুলবারের উপরে লেখা 'চোখের জলে', নীচে লেখা, চোখের জলে' নামে কি গল্পটি সেভ করতে চাও? আমার মাথাটা পুরোপুরি ফাঁকা হয়েছিল। খেয়াল করিনি, ফট করে 'নো' তে প্রেস করতেই আমার চোখের সামনে পুরো গল্প ডিলিট হয়ে গেলো।

পুরো গল্প ডিলিট হয়ে গেছে! আমি জানি, আর কোনভাবেই গল্পটি উদ্ধার করা যাবে না। মাথাটা ঘুরে গেলো, ঐ মুহূর্তে চোখে সব কিছু ঝাপসা দেখছিলাম। এমনও হয়!! কী করবো, কাকে ডাকবো, কেউ কি বুঝবে আমার কত বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে!  ইচ্ছে করছিল, মেয়েদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি, ওরা কম্পিউটারের কারিগরি জানে, নিশ্চয়ই গল্পটি ডাম্প বিন থেকে তুলে আনতে পারবে। কিন্তু এত রাতে ওদের ডাকবো কি করে, ডেকে কি-ইবা বলবো, ওরা তো আগেই বলেছিল, রাত জেগে গল্প না লিখে পরের দিন সকালে লিখতে। ওরা তো জানেনা, লেখালেখির জন্য মনোসংযোগের প্রয়োজন আছে। সম্পূর্ণ একা না হলে মনোসংযোগ ঘটে না। আমার খুব কান্না পাওয়ার কথা, কিন্তু কান্না পাচ্ছিল না। এক  অসহায় আক্ষেপে বুকটা মুচড়ে উঠছিল। একবার ভাবলাম, টুম্পা তো কাছেই আছে, ওকে ডেকে দেখি, ওতো কম্পিউটার নিয়ে কাজ করে, ও যদি কিছু করতে পারে। কিন্তু ওর ঘুমন্ত সরল মুখটার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, গোল্লায় যাক আমার লেখালেখি, এ মেয়ে জীবন যুদ্ধে বিপর্যস্ত, একটু বিশ্রামের দরকার, মেয়েটা আজকে মাত্র এসেছে, ঘুমাক, ও ঘুমাক।

এত সহজে হারবো না। এমন অনেকবার হয়েছে, এর চেয়েও কঠিন সময় আমি নীরবে সামাল দিয়েছি, আর এতো কয়েকটি ঘন্টার ব্যাপার। জেগে উঠেছে আমার জেদ,  আরেক নাম 'কচ্ছপের কামড়', কচ্ছপ কামড়ে ধরলে নাকি আর ছাড়ে না। আমারও সেই অবস্থা, শেষ না দেখে ছাড়ি না। অদম্য জেদে আবার নতুন করে টাইপিং শুরু করলাম। জানিনা, কখন শেষ হবে লেখা। ওদের ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখবে আমি ভুতের মত টাইপ করে চলেছি। আমি লেখালেখির বুঝিটা কি! আসলে একটা জিনিস শুরু করে শেষ না দেখা পর্যন্ত আমি থামি না। বন্ধুত্বের বেলাতেও তাই। কেউ যদি আমাকে ভুল বুঝে, আমার সাথে সম্পর্ক কেটে দিতে চায়, আমি তাকে তা করতে দেবো, তবে শেষ পর্যন্ত আমাকে জানতে হবে, কোথাও কোন ভুল হয়েছে কিনা।

যে গল্পটি একবার লিখেছিলাম, তার কাঠামোটি মনে আছে, ভেতরের ডায়ালগ সব মনে পড়ছিল না। তারপরেও একই কাঠামোতে টাইপিং শুরু করলাম, টুম্পা জেগে উঠলো।
-তুমি না বললা, তোমার লেখা শেষ হয়ে গেছে, এখনও বসে আছ কেন?

টুম্পাকে ঘটনা খুলে বললাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, ও কোন কায়দায় আগের লেখাটি খুঁজে আনতে পারবে কিনা। জানা উত্তর পেলাম, সম্ভব না। ওকে বললাম, রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব লিখবো, তারপর তিন ঘন্টা ঘুমাবো। বাকীটা কাল সকালে দেখবো। অফিসে যাওয়ার আগে লেখাটি শেষ করে সাবমিট করে যাব। আহারে! কোনভাবেই আর এগোচ্ছে না, কম্পিউটার অফ করে শুয়ে পরলাম। ঘুম আসেনা, কি যেন এক হতাশায় মন ভেঙ্গে যাচ্ছে। হিসেব কষছি, কাল কি কি রান্না করতে হবে, কতটুকু ফ্রী সময় পাবো! ঘুমিয়ে পড়লাম।

ঘুম ভাঙ্গলো সকাল সাড়ে নয়টায়।  দুদিন  ছুটি কাটিয়ে মেয়ের বর ফিরে যাচ্ছে, তাকে রওনা করিয়ে দিয়ে ফ্রী হলাম সাড়ে দশটায়। আমার মনটা খুব খারাপ দেখে বোন টুম্পা এগিয়ে এলো। আমাকে পাঠিয়ে দিল কম্পিউটারে, রান্নাঘরের দায়িত্ব ওরা নিয়ে নিল। আমাকে কাজে যেতে হবে দুপুর একটার আগে। কারণ আমার কাজের শিফট ছিল একটা থেকে রাত নয়টা। বেলা সাড়ে বারোটায় গল্প একটা দাঁড়িয়ে গেলো। ডিলিট হয়ে যাওয়া গল্পের আদলেই গল্পটি হয়েছে, তবে যা হারিয়ে যায়, তা তো আর ফিরে আসে না। মানুষের বেলাতেও যা সত্যি, আমার লেখার বেলাতেও সেটাই সত্যি। গল্পের নাম আবার পালটে গেলো। এবার নাম দিলাম 'পুণর্জন্ম'। গল্পটি সাবমিট করে দিলাম, রিভাইস করে লাভ নেই, গল্প হয়েছে সাদামাটা, মনের মত করে যেটা সাজিয়েছিলাম, সে তো হারিয়েই গেলো। এখন এই আধখেঁচড়া গল্প রিভাইস করতে যাওয়া মানেই ভেতরের কান্নাকে বের করে আনা।

কম্পিউটার টেবিল ছেড়ে উঠে কোনমতে রেডি হয়ে দিলাম ছুট। অফিসে দেরী হয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার সময় পেলাম না, চুলে চিরুণী বুলাতে পারলাম না, কিন্তু মুখে একরাশ তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে টুম্পাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে গাড়িতে স্টার্ট দিলাম। একঘেয়ে চাকুরীর যন্ত্রণাকে আর যন্ত্রণা মনে হলো না, আমার চেহারা আসলেই খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে, আমার সহকর্মীরাও তা বলে। তবে ২৬ তারিখে আমাকে দেখে আমার সহকর্মীরাও অবাক হয়ে গেছে! অনেকদিন পর আমার শুকনোমুখে ওরা তৃপ্তির ছায়া দেখতে পেয়েছে, আর আমি খুঁজে পেয়েছি আবার ভালো করে বেঁচে থাকার গুপ্তিমন্ত্র!




No comments:

Post a Comment