কাজ থেকে ফিরে ফেসবুক একটু চেক করে ব্লগের জন্য একটা লেখা তৈরী করছিলাম। সাথে ইউ টিউবে গান। হঠাৎ করেই ইন্টারনেট কানেকশান চলে গেলো, ল্যান্ড লাইনের ডায়াল টোন চলে গেল। এ ঘটনা নতুন কিছু না। এটা হতেই পারে এবং এমন হলে কানেকশান গুলো খুলে আবার লাগাতে হয়। কথা হচ্ছে, আমাদের কম্পিউটার আর ল্যন্ডফোনের কানেকটিং তারের চেহারা এমন আকার ধারণ করে
ছে, আমার সাধ্য নাই এগুলোকে
সর্ট আউট করা। বাড়ীতে একজনই শুধু ইঞ্জিনীয়ার ( ঘরের কর্তাদেরকে
ইঞ্জিনীয়ার ভাবা হয়), তাকে ডেকেও উপরে আনা যাচ্ছেনা দেখে মিথীলাকে
বললাম ডেকে আনতে। মিথীলা ডাকতেই ইঞ্জিনীয়ার সাহেব মেয়েকে বললো, "
আমি এসে কী করবো? তুমি হাই পোর্টের পাওয়ার কর্ড খুলে, মোডেমের
পাওয়ার কর্ড খুলে-----------"। মিথীলা বলে, " পাপা কী বলছে, আমি তো
কিছুই বুঝছি না"। উত্তরে বললাম, পাপাকে বলো, যা কিছু তোমাকে করতে
বলছে, তার সবই আমি করেছি। কাজ হচ্ছেনা বলেই পাপাকে দরকার।
মিথীলা জানে, ইন্টারনেট না থাকলে আমার মাথা গরম হয়ে যাবে, আমার
মাথা গরম হওয়া মানেই ঘরে ১২ নাম্বার বিপদ সংকেত!! সে তাড়াতাড়ি
নীচে গিয়ে পাপাকে কী ভুজুং ভাজুং দিয়ে উপরে নিয়ে এসেছে।
ইঞ্জিনীয়ার সাহেব উপরে এসেই বলে, আরে! তোমার এই ফোন কোম্পাণীর সব খারাপ। প্রতিদিনই তো এই ঘটনা ঘটছে।
-আমার ফোন কোম্পাণী হতে যাবে কোন দুঃখে? আমি ফোন সার্ভিসে চাকুরী করি বলে কী ফোনের যাবতীয় দায়িত্ব আমার?
-তুমিও পার! কী কাজ তোমার ইন্টারনেটে? অপেক্ষা করো আরো কিছুক্ষণ।
-দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো? তুমি একটু দেখো না, তারগুলো কোথা দিয়ে কোথায় গিয়েছে?
-আমি কী জানি! রেখে দাও এভাবেই, কাল সকালে লাইন আসবে।
-রেখে দেবো মানে! ইন্টারনেট ছাড়া বসে থাকবো?
-বাবারে! কী নেশারে! ইন্টারনেট না আসলে আমি কী করবো?
-তুমি ফোন করো ওদেরকে। ওরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিবে।
-তুমিই ফোন করো। তুমিই এদের কাছ থেকে লাইন নিছো, তুমিই ভালো জানো এদেরকে!
-আরে! ওরা যখন বলবে, সিম কার্ড বের করো, ঐ তারটা খুলে নাও, আমি তো এসব টেকনিক্যাল কথা বুঝবো না।
-খুব ভালো বুঝবে। তুমি না বুঝলে আমিও বুঝবো না। তার চেয়ে বরং অপেক্ষা করো, নিজে নিজেই ঠিক হবে।
মাথা আমার, ব্যথাও আমার। আমিই ফোন করলাম ফোন কোম্পাণীকে। ফোন সার্ভিসে চাকুরী করতে গিয়ে একটা উপকার হয়েছে, কায়দা করে কথা বলতে শিখে গেছি। পনের মিনিট লেগেছে আমার ফোন কানেকশান, ইন্টারনেট কানেকশান ফিরে আসতে। এক ডিপার্টমেন্ট থেকে আরেক ডিপার্টমেন্ট, মোট তিন ডিপার্টমেন্টের এক্সপার্টের সাথে কথা বলার পর সব ঠিক হয়েছে।
এই ফাঁকে আমাদের ইঞ্জিনীয়ার সাহেব সেল ফোনে তার বন্ধুর সাথে খোশ গল্প জুড়ে দিয়েছে। ইশারায় তাকে বলি, এই কথা কম বলো, আমাদের ভাগের মিনিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। সে আবার উলটা ইশারায় আমাকে বকা দেয় মিনিটের হিসেব করি বলে। যদিও শেষ পর্যন্ত কথা সংক্ষেপ করে ফেলেছে ( নাহলে, মাসের শেষে যখন মিনিটে টান পড়ে, তখন দেখা যায়, উনিই আসামী)।
সার সংক্ষেপঃ সমস্ত লাইন ঠিক হওয়ার পর উনি বললেন,
-এই তো সব লাইন চলে এসেছে। আরে! কী সব কারবার এদের, দুই দিন পর পর লাইন চলে যায়! সব উলটা পালটা কাজ! তোমার পছন্দের কোম্পাণী, তুমিই সামলাও।
-লাইন চলে যায়, এটা তো ওদের দোষ না, নেটওয়ার্কে গোলমাল হতেই পারে। ওদেরকে ফোন না করলে ওরা জানবে কী করে যে আমাদের নেটওয়ার্কে সমস্যা! আর আমার পছন্দের কোম্পাণী বলেই মাসিক বিলও অনেক কম।
- বিল কম, সস্তার তিন অবস্থা! ( হাসতে হাসতে) । আর আমার তো অসুবিধা নাই, আমি কাউকে ফোন করিনা ( ভুলে গেছে, দশ মিনিট আগেই বন্ধুর সাথে খোশগল্প করার কথা), আমি ফেসবুকও করিনা, আমার ইন্টারনেটের দরকারও হয় না। তোমার এগুলি বেশী দরকার, কাজেই তুমিই ভালো বুঝবে। এই তো এখনতো পারলা, চেষ্টা না করেই আগেই একটা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দাও।
- ভালো, আমাকে দেখে তো শিখতে পারো, কিভাবে মিষ্টি কথায় কাজ আদায় করতে হয়।
ইঞ্জিনীয়ার সাহেব উপরে এসেই বলে, আরে! তোমার এই ফোন কোম্পাণীর সব খারাপ। প্রতিদিনই তো এই ঘটনা ঘটছে।
-আমার ফোন কোম্পাণী হতে যাবে কোন দুঃখে? আমি ফোন সার্ভিসে চাকুরী করি বলে কী ফোনের যাবতীয় দায়িত্ব আমার?
-তুমিও পার! কী কাজ তোমার ইন্টারনেটে? অপেক্ষা করো আরো কিছুক্ষণ।
-দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো? তুমি একটু দেখো না, তারগুলো কোথা দিয়ে কোথায় গিয়েছে?
-আমি কী জানি! রেখে দাও এভাবেই, কাল সকালে লাইন আসবে।
-রেখে দেবো মানে! ইন্টারনেট ছাড়া বসে থাকবো?
-বাবারে! কী নেশারে! ইন্টারনেট না আসলে আমি কী করবো?
-তুমি ফোন করো ওদেরকে। ওরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিবে।
-তুমিই ফোন করো। তুমিই এদের কাছ থেকে লাইন নিছো, তুমিই ভালো জানো এদেরকে!
-আরে! ওরা যখন বলবে, সিম কার্ড বের করো, ঐ তারটা খুলে নাও, আমি তো এসব টেকনিক্যাল কথা বুঝবো না।
-খুব ভালো বুঝবে। তুমি না বুঝলে আমিও বুঝবো না। তার চেয়ে বরং অপেক্ষা করো, নিজে নিজেই ঠিক হবে।
মাথা আমার, ব্যথাও আমার। আমিই ফোন করলাম ফোন কোম্পাণীকে। ফোন সার্ভিসে চাকুরী করতে গিয়ে একটা উপকার হয়েছে, কায়দা করে কথা বলতে শিখে গেছি। পনের মিনিট লেগেছে আমার ফোন কানেকশান, ইন্টারনেট কানেকশান ফিরে আসতে। এক ডিপার্টমেন্ট থেকে আরেক ডিপার্টমেন্ট, মোট তিন ডিপার্টমেন্টের এক্সপার্টের সাথে কথা বলার পর সব ঠিক হয়েছে।
এই ফাঁকে আমাদের ইঞ্জিনীয়ার সাহেব সেল ফোনে তার বন্ধুর সাথে খোশ গল্প জুড়ে দিয়েছে। ইশারায় তাকে বলি, এই কথা কম বলো, আমাদের ভাগের মিনিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। সে আবার উলটা ইশারায় আমাকে বকা দেয় মিনিটের হিসেব করি বলে। যদিও শেষ পর্যন্ত কথা সংক্ষেপ করে ফেলেছে ( নাহলে, মাসের শেষে যখন মিনিটে টান পড়ে, তখন দেখা যায়, উনিই আসামী)।
সার সংক্ষেপঃ সমস্ত লাইন ঠিক হওয়ার পর উনি বললেন,
-এই তো সব লাইন চলে এসেছে। আরে! কী সব কারবার এদের, দুই দিন পর পর লাইন চলে যায়! সব উলটা পালটা কাজ! তোমার পছন্দের কোম্পাণী, তুমিই সামলাও।
-লাইন চলে যায়, এটা তো ওদের দোষ না, নেটওয়ার্কে গোলমাল হতেই পারে। ওদেরকে ফোন না করলে ওরা জানবে কী করে যে আমাদের নেটওয়ার্কে সমস্যা! আর আমার পছন্দের কোম্পাণী বলেই মাসিক বিলও অনেক কম।
- বিল কম, সস্তার তিন অবস্থা! ( হাসতে হাসতে) । আর আমার তো অসুবিধা নাই, আমি কাউকে ফোন করিনা ( ভুলে গেছে, দশ মিনিট আগেই বন্ধুর সাথে খোশগল্প করার কথা), আমি ফেসবুকও করিনা, আমার ইন্টারনেটের দরকারও হয় না। তোমার এগুলি বেশী দরকার, কাজেই তুমিই ভালো বুঝবে। এই তো এখনতো পারলা, চেষ্টা না করেই আগেই একটা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দাও।
- ভালো, আমাকে দেখে তো শিখতে পারো, কিভাবে মিষ্টি কথায় কাজ আদায় করতে হয়।
সংবাদকর্মীর সংবাদ এমনিতেই ভালোলাগে। আসলেই ভালোলেগেছে।
ReplyDelete