Monday, January 14, 2013

সারাদিন বৃষ্টি, একটি ফোন কল, খিচুড়ী আর বেগুন ভাজা!

গত দু'দিন ধরে আমার মন খারাপ। কেনো খারাপ, তার কোন নির্দিষ্ট কারণা নেই। এজন্যই 'আমার মন খারাপ' এখন আর কাউকে হতাশ করে না। মন খারাপ ব্যাপারটির সাথে আমি নিজেও অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। বেশ বুঝতে পারছি, আশাপূর্ণা দেবী অথবা সুচিত্রা ভট্টাচার্য্য  হতে চলেছি। হা হা হা! একটু মজা করলাম।

আমার মন নানা কারণেই খারাপ থাকে, হতে পারে, খুব বেশী সেনসিটিভ হয়ে যাচ্ছি। ছোট ছোট ব্যাপারগুলোও আমাকে খুব কাঁদায়। সত্যিই কাঁদায়।  কেউ রসিকতা করে কিছু বললেও কাঁদি, আবার সিরীয়াসলী কিছু বললেও কাঁদি। তবে আমার কান্না আমার ভেতরেই থাকে, বাইরে আনি না। কী দরকার, একে তাকে বলে, কেউ তো বুঝবেও না। তবে ইদানিং দেখছি, আকাশ বুঝতে পারে আমার মন খারাপের ব্যাপারটি। নাহলে শীতকালেও কেনো এমন বৃষ্টি হবে। যে ক'দিন আমার মন খারাপ থাকে, সে ক'দিনই অবিরাম বৃষ্টি পড়ে। আজকের বৃষ্টি ছিল ক্ষমার অযোগ্য, আমার মন অত বেশী খারাপ ছিল না যে আমার দুঃখে আকাশ ভেঙ্গে নেমে আসতে হবে।

এমন ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও কাজে যেতেই হয়েছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মুখ ব্যাদান করে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াই, টিব্রেক নেই, কফিরুমে গিয়ে মন খারাপ করে মাথা নীচু করে বসে থাকি। এভাবেই চলছিল, হঠাৎ করেই আমার সহকর্মী আমার নাম ধরে ডাকতেই মুখে নকল হাসি ছড়িয়ে জিজ্ঞেস করি, কী ব্যাপার!

-তোমার নাম কী রীটা মিতু?
-মানে?
-তোমার লাস্ট নেম কী মিতু?

-না, মানে, হ্যাঁ, কেনো বলো তো! তুমি কী করে জানলে আমার লাস্ট নেম মিঠু, মিঠু আমার লাস্ট নেম নয়, নিক নেম।

-তোমার একটা কল এসেছে, রীটা মিতু বলেছে। ফেসবুকে তোমার নাম রীটা রয় মিতু দেখেছি।

ওর সাথে আর কথা বাড়ালাম না, মনে মনে অবাক হয়ে গেছি, আমাকে পরিবার এবং দু'চারজন বন্ধুর বাইরে কেউ অফিসের নাম্বারে কল দেয় না। তাও আবার তারা কেউ আমার মিঠু নাম বলে না। কে হতে পারে? বুক কাঁপতে শুরু করলো। আমি খুব দ্রুত চিন্তা করতে পারি। প্রতি সেকেন্ডে একটি করে কল্পনা করার ক্ষমতা আমার আছে। পাঁচ সেকেন্ড লেগেছে রিসিভার উঠাতে। পাঁচ সেকেন্ডে আমি পাঁচ জনের নাম মনে মনে ভেবেছি, নামগুলো এখানে নাই-বা বললাম। তবে বিশ্বাস করিনি, তাদের কেউ আমাকে এখানে ফোন করবে।

-হ্যালো! হু ইজ দেয়ার?
-আপনি কী রীতা রায় মিঠু বলছেন ( ভীষণ মিষ্টি গলায়)
-বলছি
-আপনি কী প্রিয় ব্লগে লিখেন?

এটুকু শুনেই আমার ভয় লাগলো, কে জানে, আমার কোন নির্দোষ লেখায় কারো কোন ক্ষতি হয়ে গেলো কিনা। বললাম,

-হ্যাঁ, আমি প্রিয় ব্লগে লিখি।
-আন্টি, আমি প্রিয় ব্লগ পড়ি। প্রতিদিন পড়ি।  ইনফ্যাক্ট, আমি রান্নাবান্না তাড়াতাড়ি শেষ করে কম্পিউটারে গিয়ে বসি প্রিয় ব্লগে আপনার লেখা পড়ার জন্য।

-তুমি কে? কোথা থেকে কথা বলছো?

-আন্টি, আমি ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে কল করেছি। আন্টি আমি অনেক এক্সাইটেড, কী রকম হাঁপাচ্ছি!  আমার ফেসবুক নেই, ই মেইল অ্যাডরেস নেই, আমি কতভাবে চেষ্টা করেছি, আপনাকে একটু পাওয়ার জন্য।

-কী বলো! এতো ভালো লাগে আমার লেখা! আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না।  তোমার নাম কী?

- আমার নাম ঐন্দ্রিলা, ক্যালিফোর্ণিয়াতে এসেছি দু'বছর আগে।

-পড়তে এসেছো?
না, হাজবেন্ডের কাছে এসেছি। আমার বয়স অনেক কম, আপনার মেয়ের বয়সী হবো।

-তোমার বয়স কম, আমি তোমার কান্ড দেখেই বুঝে ফেলেছি ( হা হা হা )। কম বয়সী না হলে এমন হুলুস্থূল কান্ড কেউ করে? এইজন্যই কম বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে আমি খুব ভালোবাসি, তাদেরকে খুব ফিল করি। আমি ভাবতেই পারছি না, ব্লগে লেখা পড়ে কেউ এমন মরীয়া হয়ে আমাকে খুঁজে বের করে ফেলেছে। মাগো, তুমি তো জানোনা, তুমি আমার আজকের দিনটি বদলে দিয়েছো।

-আন্টি বিশ্বাস করেন, আমার ফেস বুক নেই বলে আপনাকে মেসেজও করতে পারছিলাম না। আমি আপনার লেখা প্রতিদিন পড়ি। নতুন লেখা না থাকলে পুরানো গুলো পড়ি। আমার আম্মুকে ফোন করলেই আপনার কথা বলি।

-আচ্ছা, আমি কী বলবো বুঝতেই পারছি না। তুমি আমার এই নাম্বার কোথা থেকে পেলে?

-আন্টি, সরি, আমার উচিৎ হয় নি, অফিসে ফোন করা, কিন্তু আমার আর কোন উপায় ছিল না। আমি এখানে একা থাকি,  আম্মুর জন্য খারাপ লাগে, আপনার লেখাগুলো পড়লে আম্মুকে ফিল করি।

-মাই গড! তুমি তো আজকে আমার মন ভালো করে দিলে!

-আন্টি, আজ রাতে আমার ঘুমই হবে না, এতো আনন্দ হচ্ছে, আপনি কী বুঝতে পারছেন যে আমি কেঁদে ফেলেছি, আর কী রকম হাঁপাচ্ছি দেখেন। আমি সব সময় আম্মুকে বলি, আম্মু আমি এখানে আরেকজন 'মা' পেয়েছি। আম্মু জানতে চেয়েছে আপনার কথা, বলেছি, এখনও উনার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, তবে চেষ্টা করছি। আন্টি, এবার শোনেন, আমি কী করে আপনার নাম্বার যোগাড় করেছি।

ঐন্দ্রিলা নাম্বার যোগাড় করার কাহিণী শোনাল, আমি থ' হয়ে গেছি। এই মেয়ে কী দারুণ স্মার্ট, কী ভীষণ বুদ্ধিমতী! মেয়েটির ফেসবুক একাউন্ট নেই শুনে বলেছি,

-থাক মাগো! ফেসবুক থাকার দরকার নেই। স্বামী যেভাবে খুশী থাকে, সেভাবেই চলো। ফেসবুক অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম হলেও, ফেসবুকের যন্ত্রণাও আছে। তুমি নতুন জীবন শুরু করেছো,  আনন্দ করো, ফেসবুক নেই বলে এমন কোন ক্ষতি হয় নি। আমি তো এখন ব্লগে রেগুলার লিখি না। তোমাকে আমার নিজের ব্লগের লিঙ্ক দিচ্ছি, ওখানে গেলে আরও অনেক বেশী লেখা পড়তে পারবে।

-সত্যি দিবেন! আচ্ছা, আমি তাই করবো। আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমার হাজব্যান্ড ফেসবুক পছন্দ করে না, তাই ফেসবুকে যেতে পারবো না। আমি প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করেই প্রিয় ব্লগে চলে যাই। আপনার লেখাগুলো খুঁজি।

-এবার আমার চোখে জল আসে। বুঝতে পারি, মেয়েটির স্বামী সারাদিন কাজে থাকে, বাড়ীতে ও একা একা থাকে, মায়ের জন্য কাঁদে। আহারে! কিছুক্ষণ আগেই আমি আমার মায়ের জন্য কাঁদছিলাম। আমি যখনই আমার মায়ের জন্য কাঁদি,  কোন না কোনভাবে  মা  আমার জন্য একরাশ আনন্দ পাঠিয়ে দেন। আজকে 'ঐন্দ্রিলা' আমার জন্য আনন্দ নিয়ে এসেছে। এ আনন্দ অন্য সব আনন্দের থেকে আলাদা। এ আনন্দ আমার স্বীকৃতি, এ আনন্দ আমার পারিশ্রমিক, এ আনন্দ আমার দুঃখের দিনে শান্তির প্রলেপ, এ আনন্দ আমার উপর আমার মা-বাবার আশীর্বাদ!

কাজের সময় এতক্ষণ আমি ফোনে থাকি না। ঐন্দ্রিলাকে অনেক ভালোবাসা জানিয়ে ফোন রেখে বেশ কিছুক্ষণ বোবা হয়েছিলাম। আমার সর্বক্ষণের প্রিয় বন্ধু রয় কে ডাকলাম, রয় জানে, আমার লেখালেখির নতুন নেশার কথা। রয় কে সব খুলে বললাম, আমার মুখের দিকে তাকিয়েই রয় বললো,

- আমাদের তরফ থেকে মেয়েটিকে থ্যাঙ্কস জানিও, ও এত কষ্ট করে নাম্বার যোগাড় করে তোমাকে কল দিয়েছে বলেই দু'দিন বাদে তোমার মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যাপারটি সত্যিই খুব আনন্দের, তোমার অনুভূতি বুঝতে পারছি।


এরপর মন খারাপ কেটে যেতে শুরু করলো, মনে মনে ভাবছি, গত বছর এই প্রিয় ব্লগেই, এক ভদ্রলোক ( আমেরিকার কোন এক স্টেটে অধ্যাপনা করেন) আমাকে ওয়ালমার্টের চীপ এসোসিয়েট’ বলে উপহাস করেছিল, কারণ আমার লেখা উনার কাছে খুব সস্তা মনে হয়েছিল। উনার রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে আমার লেখার বিষয়বস্তুর চরম বিরোধ ছিল। ব্যাপারটি উনি সহ্য করতে পারতেন না। এই ভদ্রলোক আমার ইষ্টি গুষ্টির নাম ঠিকানা তার মন্তব্যে উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল, উনি আমার খোঁজ খবর নিয়েই মাঠে নেমেছেন। সে লেখাগুলো অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছি, ভেবেছি যাক! এগুলো আর সহজে কারো নজরে আসবে না। কারণ, উনার কর্মকান্ডে আমার খারাপ লেগেছিল, একজন অধ্যাপক হয়ে কী করে এমন স্থূল ধরণের কাজ করতে পারেন! বুঝা গেলো, ঐন্দ্রিলা সেই সকল পুরানো লেখা ঘেঁটেই আমার খোঁজ বের করেছে। আরও একটি জিনিস পরিষ্কার হয়েছে, মাঝে মাঝে ‘উচ্চশিক্ষিত বয়স্ক’ দের চেয়ে একজন তরুণ গৃহীনির মানসিক গঠণ অনেক বেশী আধুনিক। কারণ সেই অধ্যাপক ভদ্রলোক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারী আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করেছিল, ফলে ওখানে লেখা জমা দিতে ভয় পেতাম, কটু মন্তব্যের ভয়ে অনেক সময় লেখা জমা দিতাম না। য়ামার সাথে সাথে অন্য আরও দশজন পাঠক পড়ছে এই সকল বিশী মতব্য, লজ্জায় মরে যেতাম। এই প্রিয় ব্লগেরই আরেক তরুণ আমাকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ পাঠিতেছিল, যেনো লেখা বন্ধ না করি, প্রয়োজনে অন্য ধরণের টপিক নিয়ে লিখি। কিছুদিন পর লেখার ট্র্যাক বদলে ফেলি, অন্য ধরণের লেখা লিখি, আরও দু’চারটে ব্লগে লিখি, এখন আর কেউ কটুকাটব্য করে না। অথবা কটুকাটব্য করলেও গায়ে মাখি না। শান্তিতে লিখি। ব্লগে সকলেই আমাকে ‘দিদি’ ডাকে, আমি ভীষণ খুশী হই।



তবে আজকের খুশীর সাথে কোন খুশীরই তুলনা চলে না। আমার নিজের মেয়েরাও আমার লেখা পড়ে দেখার সময় পায় না, আর সেই কতদূরে আরেক মায়ের মেয়ে, আমার লেখায় তার দেশে ফেলে আসা মা'কে খুঁজে পায়! এ যে কী ভীষণ বড় সার্টিফিকেট আমার জন্য। আমার মনে হয়েছে, এ আমার বিরাট অর্জন, এ আমার নিজস্ব অর্জন। আমার নিজের যোগ্যতায় আমি ঐন্দ্রিলার মত মিষ্টি একটি মেয়ে পেয়েছি, নতুনভাবে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছি। আজকের দিনটি সেলিব্রেট করতেই হয়।

ঔপন্যাসিকা সেলিনা হোসেন মনে করেন, লেখিকা হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে, নিজেকে সব কিছু থেকে আলগা করে নেয়া। একেবারে একা হতে না পারলে লেখক হওয়া যায় না। কথাটির মধ্যে সত্যতা আছে, কথাটির মধ্যে নিষ্ঠুরতা আছে। আমি কথাটির সত্যতাকে মেনে নিয়েছি, কিন্তু নিষ্ঠুরতাকে মানতে পারবো না। ঘরে আমার উত্তম কুমার ও কন্যা মিথীলা আছে। ইদানিং উত্তমের খাওয়া দাওয়ায় বেশ দূর্দিন চলছে, আগের মত যুত করে রান্না করতে পারি না। খিঁচুড়ী তার পছন্দের খাবার, সিদ্ধান্ত নিলাম, আজ বরং খিঁচুড়ী রান্না করবো।

বাড়ী ফিরেছি সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায়, উত্তম এর আগেই রাইস কুকারে ভাত বসিয়ে দিয়েছে। থাকুক রাইস কুকারের ভাত রাইস কুকারে। আমি কাঁচা মুগ শুকনো তাওয়ায় ভাজলাম, দেশ থেকে নিয়ে আসা কালোজিরে চালের প্যাকেট খুঁজে বের করে খিঁচুড়ী রান্নার আয়োজন করলাম। ওয়ালমার্ট থেকে ফেরার সময় বেগুন আর ধনে পাতা কিনে এনেছিলাম। ঘরে ছিল ফুলকপি। ব্যস! ফুলকপির বড়া, ধনে পাতার বড়া আর বেগুন ভাজা দিয়ে খিচুড়ী। সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, আহ! অমৃত।  দোতলায় বসে থেকেই মিথীলা রান্নার গন্ধ পেয়েছে। দৌড়ে নীচে নেমে এসেছে,

-ওরে! মা আজকে বেগুন ভাজা হচ্ছে? আরে! ফুলকপি ভাজা হচ্ছে? এইজন্যই উপর থেকে সুন্দর গন্ধ পাচ্ছিলাম।

-তোর তো দুই নাকই বন্ধ হয়ে আছে, গন্ধ পেলি কীভাবে?

-না, আজকে আমি নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারছি। আজকে এত কিছু রাঁধছো কেনো? তোমার মনটা কী খুব হ্যাপী আছে?

-আমার মন আজকে হ্যাপী আছে। আজ দারুণ একটা ঘটনা ঘটেছে।

-কী হয়েছে আজকে? এওয়ার্ড পেয়েছো?

মিথীলার কথার জবাব না দিয়ে বাংলাদেশে মামাতো ভাইকে ফোন করলাম।

-হ্যালো অপু, হ্যাপী বার্থ ডে!

-থ্যাঙ্ক ইউ ফুলদিভাই। তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম।

-অপু শোন, আজকে মজার একটা ঘটনা ঘটেছে। তোরা তো আমার লেখালেখি নিয়ে ঠাট্টা করিস, আজ আমি তিন মেয়ের সাথে আরেকটি মেয়ে পেলাম।

-আমরা ঠাট্টা করি মানে! কী যে বলো না।

-যা বলি, সজ্ঞানে বলছি। একমাত্র বড়দাভাই আমার লেখা পড়ে, লেখার কোথাও যদি একটু সন্দেহজনক কিছু পায়, সাথে সাথে আমাকে ফোন করে, কী ব্যাপার জানতে চায়। যেমন ধর, আজকের এই ঘটনা নিয়ে আমি একটা লেখা লিখবো, সেখানে যদি কোথাও কোন 'উলটা পালটা' পায়, ফোন করে জিজ্ঞেস করবে,

-মিঠু, কী ব্যাপার? তোর মন খারাপ কেনো? তুই ঐ মেয়ের নাম লিখে দিলি, কাজটা ঠিক হয় নাই।

আমাকে তখন বলতে হবে, বড়দা, মেয়েটার নাম, ধাম আমি একটু ঘুরিয়ে দিয়েছি। এখন আমি অনেক কিছু বুঝতে পারি। আর মন খারাপের কথা জানতে চাইছো? পাত্তা দিও না, লেখক হওয়ার অবশ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যখন তখন মন খারাপ হওয়া। আমার মন যত বেশী খারাপ হবে, আমার লেখাও তত বেশী ভালো হবে। হা হা হা! ভালো থাকিস।
 

No comments:

Post a Comment