Wednesday, April 24, 2013

চাচা, বৌমার ছোট্ট আব্দারটুকু রাখতেই হবে!

কিশোরগঞ্জের সন্তান, সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বর্তমান সংসদের স্পীকার, আবদুল হামিদ সাহেব বাংলাদেশের বিশতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, খবরটি শোনার সাথে সাথে আনন্দে আমার ডিগবাজী খাওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু ডিগবাজী খেতে পারছি না। একেতো বয়স হয়ে গেছে, তার উপর আবদুল হামিদ সাহেব সম্পর্কে আমার 'চাচাশ্বশুর' হন। বৌমা বলে কথা, অমন শিশুসুলভ আচরণ করা তো ঠিক না। আমার শ্বশুর ভাগ্যটা বেশ ভাল, আগের রাষ্ট্রপতি সদ্য প্রয়াত জিল্লুর রহমান সাহেবও সম্পর্কে আমার 'চাচা শ্বশুর' ছিলেন। এই জন্যই আমার এত আনন্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে, অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভেতর এক চিলতে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। দেরী না করে চট করে বসে গেলাম কাগজ আর কলম নিয়ে। হামিদ চাচাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা চিঠি লিখে ফেললাম। 'রাষ্ট্রপতি ভবনের' ঠিকানায় না পাঠিয়ে চিঠিখানি আকাশের ঠিকানায় ছেড়ে দিলাম।

প্রিয় হামিদ চাচা,
সালাম নিবেন। আমারে চিনছুইন? আপনেরার গ্রামের রায় বাড়ীর বউ আমি। আমার শ্বশুর মশাইকে 'রায় দাদা' বলে ডাকতেন, সেই হিসেবে আমার স্বামী আপনাকে চাচা বলে ডাকতো। অনেক বছর আগের কথা, ভুলে যেতেই পারেন, এত কর্মব্যস্ত মানুষ আপনি। তবে আমার কিন্তু সব কথা মনে আছে। প্রথম যখন শ্বশুর বাড়ীর ভিটায় পা দিলাম, তখন থেকেই আমি কিশোরগঞ্জকে ভালোবেসে ফেললাম। কয়দিন সবার সাথে থেকে থেকে দুই চারটা শব্দও শিখে ফেললাম। যেমন, গ্রামের সকলের মুখে 'আমরার' ' তুমরার', ' খাইছুইন' , 'গেছুইন', 'বালা আছুইন', 'চিনছুইন নি আমারে' শুনতে এত ভালো লাগতো যে আমিও মাঝে মাঝে আমার স্বামীর সাথে ওভাবে কথা বলার চেষ্টা করতাম। ভীষন সরল, সহজ, মাটির জীবন আপনাদের। আমার স্বামী, অর্থাৎ আপনাদের 'রায় দাদা'র ছেলেও আপনার মতই খুব সহজ, সরল জীবনে অভ্যস্ত। এখনও জিল্লুর চাচার কথা বলে, তার মন খারাপ হয়, সাথে সাথে আমার মনও খারাপ হয়ে যায়। বড় ভাল মানুষ ছিলেন তিনি। জিল্লুর চাচা রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আমরা অনেক খুশী হয়েছিলাম। আপনি স্পীকার হয়েছিলেন জেনে আরও অনেক বেশী খুশী হয়েছিলাম। কিশোরগঞ্জের রত্ন আপনারা।


মনে আছে, প্রথম যখন বউ হয়ে গেলাম, মাথা ঢাকা ঘোমটা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিল, তাদের ধারণা ছিল, 'শহইরা বিবি' মাথায় ঘোমটা দিতে জানে না। যখন 'চাচা', চাচীদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছিল, সে ছিল এক মজার কান্ড। আমি মাটিতে নীচু হয়ে বসে সব গুরুস্থানীয়দের প্রনাম করছিলাম, গ্রামের মানুষগুলো যেন 'বোবা' হয়ে গেল! এ ওকে চিমটি কাটে, একজন আরেকজনকে একটু ঠেলে দেয়! চাচা, চাচীরা বললেন, " না, আমরার দুলাল তো দেখি খুবই বালা মাইয়া পছন্দ করছুইন। ময় মুরুব্বী মানে, আদব কায়দা জানে। দুলাল ত দেহি বেডা একখান! আম্রিকা থিক্কা মেম বিয়া কইরা আনছুইন না, এক্কেবারে আমরার লাহানই সাদাসিদা মাইয়া বিয়া কইরা আনছুইন"। চাচা, কথাগুলো এখনও কানে বাজে। এই সেদিনও আপনাকে দেখলাম টেলিভিশনে সংসদ পরিচালনা করাকালীন সময়ে, আপনি কথা বললেই আমি বুঝতে পারি, কিশোরগঞ্জী টান। মাটির টান যে বড় বেশী গভীরে টানে।


চাচা, আজ আমরার বড়ই সুখের দিন। আপনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, ইচ্ছে করছে গলা ফাটিয়ে চীৎকার করে বলি, দেখো আমাদের হামিদ চাচা, কিশোরগঞ্জের অহংকার, দেশের সবচেয়ে উচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন! আমরা আগেও খুশী হয়েছিলাম যখন আপনি স্পীকার নির্বাচিত হয়েছিলেন আর জিল্লুর চাচা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিল। এবার আবারও খুশী হয়েছি আপনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায়। দেশ থেকে কত হাজার হাজার মাইল দূরে আছি আমরা, তারপরেও খুশী হওয়ার বেলায় কোন কমতি দেখছি না। খুশীর চোটে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসও দিয়ে ফেলেছি, এবং স্ট্যাটাসটি অনেকে লাইক করেছে। আগেই একটা কথা খোলাসা করে নেই, আপনার ভাতিজা, মানে আমার স্বামীকে আমি 'উত্তম কুমার' নামে ডাকি, আপনি নিজেও খুব হাস্যরসপ্রিয় মানুষ, তাই আপনার কাছে 'উত্তম কুমার' রহস্যটা খোলাসা করে দিলাম। চাচা এইবার শোনেন, স্টাটাসে কী লিখেছি,


"অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কেন আমার উত্তম কুমাররে নিয়া এত্ত অহংকার করি! তাগোরে বুঝাই কেমনে, দেখতে হইব তো, কুন বাড়ীর পোলা সে!! যেন তেন বাড়ীর পোলা না তো সে, রাষ্ট্রপতির ভাইয়ের ছাওয়াল হয় সে। সাধে কী আর উত্তম কুমার ডাকি! জ্বী, ঠিকই বলতেছি, সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন আমার চাচা শ্বশুর, আর নতুন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও আমার চাচা শ্বশুর। আর আমি হইলাম তারার অতি আদরের 'বৌমা'।
কিশোরগঞ্জের ছেলে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আপনাকে অভিনন্দন! বৌমার একটি অনুরোধ রাখতেই হবে, আমরার 'চাইর ব্লগার' রে এইবার মুক্তি দেন চাচা! বৌমার এই আব্দারটুকু রাখেন!!!"


চাচা, সংসদীয় গণতন্ত্রে 'রাষ্ট্রপতি'আসনটি দেশের সর্বোচ্চ পদ হলেও, দেশ পরিচালনায় 'রাষ্ট্রপতি'র নাকি কোন ভূমিকাই থাকে না! এমন ধারণা থাকার পরেও আপনার শরনাপন্ন হলাম। চাচা, নিজের জন্য আমি কারো কাছে কোনদিনই কিছু চাইনি, আজ গ্রেফতারকৃত চারজন মেধাবী ব্লগারের মুক্তির জন্য আপনার দ্বারস্থ হয়েছি। আপনিই শেষ ভরসা। চাচা, এর আগে আমি আরও কয়েক দরজা ঘুরে এসেছি, কারো কাছ থেকে কোন সাড়া পাই নি। মায়ের প্রাণ আমার, ওদের চিন্তায় অস্থির থাকি। মা যে কী জিনিস, ভুক্তভুগী মাত্রেই জানে। চাচা, আমাকে হয়তো আপনার মনে পড়ছে না, চিনতেও পারছেন না, কিন্তু আমাকে আমার শ্বশুরবাড়ীর গ্রামসুদ্ধ মানুষ 'ভাল বৌ' হিসেবে জানে। আমিও আমার শ্বশুর বাড়ী নিয়ে গর্ব করি, জিল্লুর চাচা আর আপনাকে নিয়ে গর্ব করি। চাচা, আপনার বৌমাকে খালি হাতে ফিরায়ে দিবেন না!


চাচা, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, এর আগের রাষ্ট্রপতিরা কিন্তু 'খুনের আসামী'র মৃত্যুদন্ড মওকুফ করে দিয়েছিলেন। ভেবে দেখেন, ওরা ছিল 'খুনের আসামী', আর এই চার ব্লগার খুন, রাহাজানি, চুরী ডাকাতি কিছুই করেনি, মিডিয়ায় লেখালেখির জন্য আজ তাদেরকে এত হেনস্থা করা হচ্ছে। চাচা, আওয়ামীলীগ এত বেশী পুরানো দল হয়েও ভুল ভ্রান্তি প্রচুর করছে। এই যে চারজন ব্লগারকে আটকে রাখা হয়েছে, এটা কিন্তু বিরাট ভুল। এরা প্রগতীশীল, এরা মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন যুবক। ওদের সকলেই দেশের উন্নতির কথা ভাবে, দেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের নির্মূল করতে চায়। ওদের সকলেই হয়তো বা আওয়ামী রাজনীতি করেনা, কিন্তু ওরা বিশ্বাস করে যে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষেই সম্ভব এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত করা। তাই এই তরুণেরাই বর্তমান সরকারের পক্ষাবলম্বন করে বাংলা ব্লগে কলমযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। এই সকল তরুণ ব্লগারদের মেধার কাছে পরাজিত হয়ে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধীপক্ষ অন্যায়ভাবে, মিথ্যাচার করে এই মেধাবী কলমযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চাইছে। মিথ্যাচার করতে গিয়ে ওরা শেষ পর্যন্ত পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করেছে, তারা সকল ব্লগারদেরকে 'নাস্তিক' আখ্যা দিয়ে দেশবাসীর চোখে ভিলেন বানাতে চেয়েছে।


চাচা, বিরোধীপক্ষ এত বেশী মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে যে ওরা এখন আর কোন রাখ-ঢাক মানছে না, গলগল করে মিথ্যে বলে যাচ্ছে। এই সেদিনও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য, সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুল, '৭১ টিভি মঞ্চে, বঙ্গবন্ধুর নামে চরম মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। উনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু নাকি ১৯৭৪ সালের ও আই সি সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজুর রহমানকে সফরসঙ্গী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন। চাচা, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অপর দুই রাজনীতিবিদ কিন্তু মুখ বন্ধ করেছিলেন, কোন প্রতিবাদ করতে পারেননি। আমরাও এই মিথ্যে কথাটিই বিশ্বাস করে ফেলতাম যদি না ঐ মুহূর্তে তোফায়েল চাচা উনার বাড়ী থেকে স্টুডিওতে ফোন করতেন। তোফায়েল চাচা বকুল সাহেবের মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে উনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রমান দেখানোর জন্য। চাচা, ভেবেছিলাম, বকুল সাহেব লজ্জা পেয়েছেন, আর কথা বাড়াবেন না এই বিষয়ে। কিন্তু ' বেলাজের যদি থাকে লাজ, ভাবিয়া মরার কোন কাজ" হয়েছে অবস্থা। বকুল সাহেব আরও বড় কেলেংকারী করে ফেলেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে পাকিস্তানের প্রটোকল অফিসারের ছবি দেখিয়ে বলেছে, ঐটিই শাহ আজিজুর রহমান। সেদিন মঞ্চে উপস্থিত অন্য দুই তুখোড় সাংবাদিকের সামনে বকুল সাহেবের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যেতেই, আমাদের কাছে বাকী সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছে।


চাচা, এবার বিশ্বাস করতেই পারেন, বিরোধীপক্ষের আসল টার্গেট আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এরা মরীয়া হয়ে গেছে। কত রকম ফন্দী ফিকির খুঁজছে, ব্লগে, টকশো'তে, কিছু পত্রিকায় এদের পোষা কর্মচারীরা মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। আর ঠিক এই প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সরকার চারজন নিরীহ ব্লগারকে আটকে রেখেছে, এটা কী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরাট ভুল সিদ্ধান্ত নয়? ওরা আটক আছে বলে কেউ স্বাধীনভাবে কিছু লিখতেও পারছে না, পাছে আবার কোন গ্যাঁড়াকলে পড়তে হয়! অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে চাচা। এই ব্লগাররা মুক্ত হয়ে গেলেই অন্যান্যরা আবার নতুন উদ্যমে বর্তমান সরকারের পক্ষে কলম চালিয়ে যেতে পারতো। আর মাত্র কয়েক মাস আছে নির্বাচনের, বিরোধী শিবিরের ওরা কিন্তু থেমে নেই, মিথ্যার বেসাতী সাজিয়ে নিয়ে বসেছে নানা মিডিয়ায়, ব্লগে, টকশোতে। আর প্রগতীশীল ব্লগাররা সতীর্থদের মুক্তির অপেক্ষায় বসে আছে, সতীর্থদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে।


শুধু কী বকুল সাহেব? এই তো সেদিন, নাজিউর রহমান মঞ্জুরের ছেলে আন্দালিব রহমান পার্থ, কী বিশ্রী ভাষায়, বিশ্রী ভঙ্গীতে ব্লগারদেরকে গালিগালাজ করলো, সবচেয়ে মারাত্মক ভুল সে করেছে যা অনেকের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে, তা হলো, সে দুই নেত্রীকে অপদস্থ করেছে সবার সামনে, বলেছে দুই নেত্রীর নিজের মতামত ছাড়া কোন কাজ হয় না, সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপুমনির নামোল্লেখ করে যাচ্ছে তাই সমালোচণা করেছে, সর্বশেষ সে বাপের বয়সী নেতা , বর্ষিয়ান তোফায়েল আহমেদ চাচার নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে, এতই অভব্য হয়ে উঠেছে এরা যে তোফায়েল চাচার নামের শেষে 'চাচা' সম্বোধণটুকু করে নি। এই তো হচ্ছে বিরোধী শিবিরের চেহারা। চাচা, টকশো'তে উপস্থিত থাকে আওয়ামীলীগ ঘরাণার অন্য টকাররা, কেউ পারেনা এই সব বেয়াদবদের মুখের উপর প্রতিবাদ করতে, আমাদের মত ব্লগারদেরই এগিয়ে আসতে হয়। আপনি হয়তো জানেন না, ব্লগে ব্লগে এখন শুধু কলমযুদ্ধ চলছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আর বিপক্ষশক্তির মধ্যে। আস্তিক-নাস্তিক কিছুই না চাচা। আমার কথা বিশ্বাস করুন, প্লীজ!



চাচা, চারজনকে ছেড়ে দিন, বৌমার অনুরোধটুকু রাখুন। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভোট ছাড়া কোন দলই ক্ষমতায় যেতে পারবে না। যদি চার ব্লগারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে ন্যুনতম সত্যতাও থেকে থাকে, এতদিনেও কী ওদের শাস্তি শেষ হয় নি? আপনারা তো আইন করলেন এই সেদিন, [ ওরা লিখেছে বলে আমরা কেউ বিশ্বাস করি না, তবুও তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম], ওদের বয়স কম, সারাটা জীবন পড়ে আছে সামনে, মেধাবী ছেলে সব, কী এক তুচ্ছ কারণে ওদের আটকে রাখা হয়েছে, আমার এই সোনার দেশটা এগোবে কাদেরকে নিয়ে? চাচা, প্লীজ ওদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিন, ওদেরকে বলুন যেন এই ধরণের হঠকারীতা আর কখনও না করে। এরপরেও যদি ওরা আবার একই কাজ করে, তাহলে যে সাজা পাওনা হবে , সে সাজাই ওদেরকে দিন।


চাচা, এত বড় সম্মান, এত বড় দায়িত্ব সৃষ্টিকর্তা আপনার কাঁধে অর্পণ করেছেন, আপনি দেশের সর্বময় কর্তা, আপনার আগে দুই রাষ্ট্রপতি খুনের আসামীর সাজা মওকুফ করে দিয়েছিলেন, জিল্লুর চাচার এত প্রশংসার মধ্যেও এই একটি কাজ বেমানান হয়ে আছে, আর ইয়াজুদ্দীন সাহেবের তো কথাই নেই, এমন মানী -জ্ঞাণী একজন অধ্যাপক, কোন ভাল কাজের নিদর্শন রেখে যেতে পারেন নি। আপনি মাত্র কয়েক মাসের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন, চাইলে এইটুকু সময়ের মধ্যেই অনেক কিছু করে ফেলতে পারেন, যেমনটি করেছেন তোফায়েল চাচা। এক ধমকে শাখাওয়াত বকুলদের 'মিথ্যাচার'এর মুখোশ জনগনের সামনে তুলে ধরেছেন, আর আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করি, তারা পুরো ব্যাপারটিকে লুফে নিয়েছি। আপনার দিকে তাকিয়ে আছি, চার ব্লগারকে মুক্তি দিন, ওদেরকে সাথে নিয়ে আমরা বাকী সব মিথ্যুকদের মুখোশ উন্মোচন করে দেবো, আমরা আর পেছনের দিকে তাকাতে চাই না, সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত শপথ নিয়েই মাঠে নেমেছি। আমরা থাকবো না, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে চাই। জয় আমাদের সুনিশ্চিত, আপনি শুধু পাশে থাকুন চাচা।

আপনাদের 'বৌমা'।
মিসিসিপি, আমেরিকা

No comments:

Post a Comment