Friday, April 26, 2013

মন্ত্রী মহোদয়, আল্লার দোহাই লাগে, আর ভুলভাল কিছু বলবেন না, প্লীজ!

 গত দুটি দিন টিভির পর্দায় চোখ রাখতে পারছি না। গত দুটি দিন মুখে ভাত তুলতে পারছি না। গত দুটি দিন ধরে কারো সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছি না। গত দু'রাত দুচোখের পাতা বন্ধ করতে পারছি না।  চোখে ভাসে শুধু সাভারের 'রানা প্লাজার' ধ্বংস্তুপের ছবি, নুপূর ঝুলতে থাকা একটি পায়ের ছবি, কালো বুট জুতা পরা আরেকটি পায়ের ছবি, মৃত্যুর আগে যে যুবক তার প্রিয় কোন জনকে জরিয়ে ধরে রেখেছিল, সেই ছবি, একটি সাদা কাগজ হাতে ধরা কোন এক নারীর হাতের ছবি, শুধু ছবি আর ছবি, ছবি আর ছবি। পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতে পারিনা, মৃত লাশগুলোর ছবি দেখলেই এড়িয়ে যাই, ব্লগে যেতে পারছি না, সেখানেও মাতম আর ক্রোধ, ফেসবুকে বসি, সেখানেও একই দৃশ্য। কে বলে যে ব্লগাররা 'নাস্তিক'? যারা ব্লগারদেরকে 'নাস্তিক বলে, এমনকী প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করা হয়, সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে " নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার করা হয়েছে" , সেই তারা একটিবার এসে উঁকী দিয়ে যাক, ব্লগে কী চলছে! আজ ব্লগ বেঁচে আছে বলেই রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই হাজারের বেশী আহতকে জীবিত অবস্থায় বের করা সম্ভব হয়েছে, ব্লগ বেঁচে আছে বলেই রক্তদানকারীর ভীড় ক্রমশঃ বাড়ছে! ব্লগাররা প্রয়োজনের বাইরে  অতিরিক্ত কিছু বলছেও না, করছেও না। এই ব্লগারদের মন্ত্রীত্ব পাওয়ার বাসনা নেই, মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখারও ব্যাপার নেই। তাই তারা অপ্রোয়জনীয়, গা-জ্বালানো, অমানবিক, নিষ্ঠুর মন্তব্য ছোঁড়াছুঁড়ির প্রতিযোগীতাতেও লিপ্ত হয় নি। তারা দূর্গতদের উদ্ধার সেবায় যত রকম উপায়ে সম্ভব, কাজ করে চলেছে।



গত সপ্তাহে আমেরিকার বোস্টনে ঘটে গেল ভয়ানক বোমা হামলার ঘটনা।  শতবর্ষ পুরানো ঐতিহ্যবাহী ম্যারাথন রেসের শেষ মুহূর্তে আচম্বিতে পর পর দুটো বোমা বিস্ফোরিত হয়। তিনজনের মৃত্যু হয়, আহত হয় শতাধিক। কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা খুঁজে দেখার আগে আমেরিকান পুলিশ বাহিনী  বোমা হামলায় আহত-নিহতদের উদ্ধারকাজেই বেশী তৎপর হয়ে উঠে। টিভি সংবাদগুলোতেও শুধুমাত্র বোমা বিস্ফোরণের সংবাদই প্রচারিত হচ্ছিল, সাথে পুলিশী উদ্ধার অভিযানের সংবাদ।  সংবাদ প্রচারের মাঝে মাঝেই সিটি মেয়র, পুলিশ প্রধান, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছোট ছোট মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছিল। মন্তব্যগুলো প্রচারের প্রধান ঊদ্দেশ্যই ছিল, জনগণকে আশ্বাস দেয়া যে বিপদের সময় ধৈর্য্য হারাতে নেই, বিপদের সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাওয়াটাই প্রধান কাজ। ঐক্যবদ্ধ জাতিকে ঈশ্বর সহায়তা করেন।  মত ও পথের পার্থক্য থাকা সত্বেও প্রতিটি আমেরিকান মনে প্রাণে একটি মন্ত্র জপে যায় "গড ব্লেস আমেরিকা" !

প্রথম দেড়দিন আসামী ধরা পড়েনি, এবং প্রশাসন থেকে আগে ভাগে কোন মন্তব্যও করা হয় নি।  প্রেসিডেন্ট ভবন থেকেও কোন মন্তব্য করা হয় নি, এমন কি আমেরিকান জনগণও অগ্রিম কোন মন্তব্য করে নি।  আগে ভাগে মন্তব্য করার অভ্যাস বোধ হয় একমাত্র বাঙালীদেরই আছে। যেদিন বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে, সেদিন আমি ছিলাম কর্মস্থলে। বাড়ী ফিরেই টিভি অন করে বাংলা চ্যানেল দেখতে চাইছিলাম, আমার স্বামী জানালেন যে বোস্টনে ম্যারাথন রেস চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। আমি কোন আগুপিছু চিন্তা না করেই বলে দিলাম, " জেহাদীদের কাজ"। আমার স্বামী জাতিতে বাঙালী হলেও  কথা বার্তায় আমেরিকানদের মত হিসেবী, আমার মত বেহিসেবী কথা বলেন না। 'জেহাদী' বলার সাথে সাথে উনি আমাকে থামিয়ে দিলেন এই বলে যে না জেনে কোন মন্তব্য করা ঠিক না। ফেসবুকে দেখলাম, দুই একজন মন্তব্য করেছে, " আরে, ঐ নাফিস যদি পুলিশের হাতে ধরা না পড়তো, তাহলে তো সেও এমন কাজই করতো"।

দেখা গেল আমার কথাই ঠিক হয়েছে। যদিও বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথেই আসামী ধরা পড়ে নি, যখন ধরা পড়েছে, তখন জানা গেল চেচনিয়ান দুই সহোদর মিলে এই কান্ড করেছে। পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক ভাই  মারা গেছে, ছোট ভাই আহত হয়ে ধরা পড়েছে। আমার কথাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল আমার স্বামী, দুইদিন পরেই আমার কথার সত্যতা মিলে যাওয়ায় মনে মনে বেশ আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছি। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে, মন্ত্রীদের কাছ থেকে, প্রশাসন থেকেও কোন রকম উস্কাণীমূলক মন্তব্য শোনা যায় নি। ব্যাপারটি আমাকে একটু ভাবিয়ে তুলেছে।

আমি প্রতিদিন বাংলাদেশের সংবাদপত্র পড়ি, টিভিতে বাংলা চ্যানেল দেখি, দেশে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনকে ফোন করি, সর্বোপরি ফেসবুক তো আছেই। প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে, আর সেই ঘটনা নিয়ে চলছে রটনা, জল্পনা, কল্পনা, সহ আরও কত রকমের কথার ফুলঝুরী। কথার ফুলঝুরী ছোটাতে সকলেই ওস্তাদ। ডক্টরেট থেকে শুরু করে পানের দোকানী, জ্ঞানবৃদ্ধ থেকে শুরু করে পাড়ার বখাটে যুবক, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন থেকে শুরু করে হালের হেফাজতের ক্যাডার, সকলেই কথার ফুলঝুরী ছোটায়। তবে কথার যাদুতে বাংলাদেশের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা থাকেন সবার উপরে। উনারা এমন একেকটি মন্তব্য করেন যা শুনে দু'রকম প্রতিক্রিয়া হয়। যেমন মন্ত্রীর কথা যদি খুবই যুক্তিযুক্ত হয়, উনার অনুসারীরা তাহলে আনন্দের চোটে ক্যানেস্তারা পিটিয়ে কথার যুক্তিকে আরও পাকাপোক্ত করে ফেলে, তখন মন্ত্রীর বিরোধী শিবিরে চলে এক ধরণের নীরবতা বা মন্ত্রীকে খাটো করার ফন্দী আঁটার চেষ্টা। আর মন্ত্রী যদি বেফাঁস কিছু বলে ফেলে, তাহলে মন্ত্রীর অনুসারীদের মুখ আড়াল করার উপক্রম হয়ে যায়, কারণ বিরোধী শিবিরে তখন মন্ত্রীকে নিয়ে চলে হাসাহাসি আর উপহাস। উপহাস না করে উপায়ই বা কী!

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের কথা উঠলেই প্রথমেই 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী' পদটির দিকে নজর চলে যায়। বাংলাদেশের 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী' নামক চেয়ারের গদীটি কোন আমলের কে জানে! মাঝে মাঝে মনে হয়, চেয়ারটি 'গোপাল ভাঁড়ের' ছিল না তো! নাহলে এমন হবে কেন? যিনিই এই চেয়ারটিতে এসে বসেন, তিনিই কেমন করে যেন পালটে যান। তা তিনি অবসরপ্রাপ্ত  জেনারেলই হোন, অথবা ডক্টরেট ডিগ্রীধারী অবসর প্রাপ্ত ডাকসাইটে আমলাই হোন! এই চেয়ারটির কাছাকাছি যাঁরা থাকেন, তারাও কিন্তু কম যান না। চুলে জেল মাখা, অর্ধশিক্ষিত পাঙ্কুই হোক অথবা একসময়ের আইনজীবি, রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মঠ রাজনৈতিক  নারীকর্মীই হোক, তিনি বয়স্কই হোন অথবা যুবকই হোন, পুরুষই হোন অথবা নারীই হোন, ফলাফল  কিন্তু একই। 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী' নামের গদীওয়ালা চেয়ারে বসলেই তাঁদের বাক-ভ্রম হয়। মাঝে মাঝেই উল্টো-পাল্টা কথা বলে ফেলেন। তাঁরা মেঘের ডাকও বুঝেন না, ব্যাঙের ডাকও বুঝেন না। এমন সব মন্তব্য করেন যে মানুষ অমর না হলেও তাদের মন্তব্যগুলো 'অমরত্ব' লাভ করে।

তেমনই অমরত্ব লাভ করা কয়েকটি মন্তব্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,
" আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়া গেছে"
"উই আর লুকিং ফর শত্রু"
"৪৮ ঘন্টার মধ্যে 'সাগর-রুনী' হত্যাকান্ডের খুনী ধরা পড়বে"
"হরতালকারীরা ফাটল ধরা দেয়ালে নাড়া দিছে বলেই বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে"।

'অমরত্ব' পাওয়া প্রথম দুটি মন্তব্যের কথা বাদ দিলাম, কারণ মন্তব্যকারীরা এখন হিসেবের খাতায় নেই, অনেক আগেই তামাদি হয়ে গেছে। 'তৃতীয়' মন্তব্যটি তামাদিও হয় নি, আবার তরতাজা অবস্থায়ও নেই। কিন্তু সমস্যা হয়েছে চতুর্থ মন্তব্যটি নিয়ে। এই মন্তব্যটি এখনও খুবই সতেজ আছে, তামাদি হতে দেরী হবে। কারণ 'রানা প্লাজা'র ধ্বংসস্তুপ থেকে এখনও মানুষের গোঙাণী শোনা যাচ্ছে। 'রানা প্লাজা'র মালিক, সোহেল রানা আওয়ামী যুবলীগের স্থানীয় নেতা, প্রচন্ড প্রভাবশালী,  জমি দখলকারী। আর মন্তব্যটি করেছেন স্বয়ং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়।  এই মন্তব্যটি ছাড়াও শুরু থেকেই সরকার থেকেই এক ধরণের অযৌক্তিক দাবী করা হচ্ছে যে সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নয়। সাভারবাসী সকলেই সাক্ষ্য দিচ্ছে রানার বিরুদ্ধে, এমনকী আওয়ামীলীগের নেতারাও বলেছেন রানার অত্যাচার, জোর জুলুমের কথা, কিন্তু সরকার এই ব্যাপারটিকে অযথাই অস্বীকার করতে চাইছে। যে আওয়ামী লীগের গায়ে বিরোধীপক্ষ লেবেল এঁটে দিয়েছে হিন্দুদের ভোট পাওয়া দল বলে, সেই আওয়ামী রাজনীতির লেবেল গায়ে এঁটে কী করে সোহেল রানা 'রবীন্দ্রনাথ সাহা' নামের হিন্দু ব্যক্তির জমি জবরদখল করে নিল?  এই অভিযোগ তো আর মিথ্যে নয়? আর  সোহেল রানা  যদি যুবলীগের কেউ না-ই হবে, তাহলে তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের কথা উঠছে কেন?

পাঙ্কু বাবর অথবা আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে কারোরই কোন আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদের আগ্রহ আছে। ডঃ ম, খা, আলমগীর সাহেব অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, উনার বড় ভাই  ডঃ বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, উনার ভাতিজা  ডঃ মুনতাসীর মামুন বাংলাদেশের কৃতি সন্তান। এত উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী সন্তানদের কাছ থেকে দেশ ও দেশের জনগণ অমন বেহিসেবী মন্তব্য আশা করে না। সত্যি কথা স্বীকার করে নিতে বাধা কোথায়? হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না, একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সকলেই আদর্শবাদী হয় না। সোহেল রানার কোন আদর্শ নেই, এটা তো আপনাদের দোষ নয়। তাহলে স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায় যে, সোহেল রানা যুবলীগের নেতা, কিন্তু যেহেতু সে চরম অন্যায় করেছে, দন্ড তাকে পেতেই হবে।
কেন ঘটনার আদ্যোপান্ত না জেনেই আপনারা মন্তব্য করেন? কেনই বা প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে হয় যে সোহেল রানা নামে কেউ যুবলীগের নাম তালিকায় নেই! কেনই বা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভা আহবান করা হয় সোহেল রানার বিরুদ্ধে অ্যাকশান নেয়ার জন্য! কেনই বা হানিফ সাহেবকে বলতে হয়, উলটাপালটা মন্তব্য না করে আর্তের সেবায় এগিয়ে আসুন।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, কিন্তু আপনি যতক্ষণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নামক চেয়ারটিতে আসীন আছেন, আপনি তো বলতে পারেন না, কারণ আপনাদের একেকটি কথার মূল্য অনেক। আপনারা ভাল কথা বললে আমরা খুশী হই, কেন হই জানেন? তাহলে বিরোধী পক্ষকে চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিতে পারি, " এই দেখো, আমাদের দলের নেতা নেত্রীদের মধ্যে কোন ছল চাতুরী নেই। উনারা সাদাকে সাদা দেখেন, কালোকে কালো। খুনীকে খুনীই বলেন, নিজ দলের হলেও বলেন, সাধুকে বলেন সাধু, অন্য দলের হলেও।" কেন সোহেল রানাকে অস্বীকার করছেন, ভাবছেন স্বীকার করে নিলে  জনসমর্থণ কমে যাবে? একেবারেই ভুল, আপনারা অযথাই ভয় পাচ্ছেন! আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, যতই ভুল ভ্রান্তি হোক, তার পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অসাম্প্রদায়িক চেতনাগুলো আওয়ামীলীগের কাছেই নিরাপদ, আমরা আওয়ামীলীগের প্রাণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখি মায়ের মত। আপনাদেরকে ভালোবাসি বলেই ভুলগুলো বড় বেশী চোখে লাগে! জনগণ সাহসী, সৎ সত্যবাদী, দয়ালু, কর্মঠ, বিনয়ী শাসক চায়। বিনয়, নমনীয়তা মানুষকে অনেক উঁচুতে তুলে দেয়। যা চলে গেছে, যে চলে গেছে, যারা চলে গেছে, তারা চিরদিনের তরেই চলে গেছে, যারা রয়ে গেছে, আসুন সবাই মিলে তাদেরকেই সুস্থ করে তুলতে সহযোগীতা করি। দেশের জরুরী মুহূর্তে সব বিভেদনীতি ভুলে গিয়ে, রাজনৈতিক জিঘাংসাকে পেছনে ঠেলে দিয়ে, কিছুটা আমেরিকান স্টাইলে  কথা কম বলি, কাজ বেশী করি।  আমেরিকান স্টাইলে  আমরাও বলি " গড ব্লেস বাংলাদেশ"! 'গড' বলতে যদি  নীতিগত বা ধর্মীয় সমস্যা থাকে, তাহলে না হয় বলি , " আল্লাহ ব্লেস বাংলাদেশ"!

No comments:

Post a Comment